পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ গৃহস্থ সংসারীকে শিক্ষা-অভ্যাসযোগ ও নির্জনে সাধন । স্ত্রীরামকৃষ্ণ-কেন ? অভ্যাস-যোগ ? ওদেশে ছুতোরদের মেয়েরা । চড়ে ব্যাচে । তারা কত দিক সামূলে কাজ করে, শোনে। টেকির । পাট পড়ছে, হাতে ধানগুলি ঠেলে দিচ্ছে আর এক হাতে ছেলেকে কোলে ক’রে মাই দিচ্ছে। আবার খদের এসেছে ; টেকি এদিকে পড়ছে, আবার খদ্দেরের সঙ্গে কথাও চলছে। খদেরকে বলছে, - গ’হলে তুমি যে ক'পয়সা ধার আছে, সে ক’পয়সা দিয়ে যেও, আর । জনিস লয়ে যেও i । “দেখো,—ছেলেকে মাই দেওয়া, ঢেকি পড়ছে, ধান ঠেলে দেওয়া ও গড় ধান তোলা, আবার খদ্দেরের সঙ্গে কথা বলা, এক সঙ্গে করছে। রই নাম অভ্যাসযোগ । কিন্তু তার পনর আন মন টেকির পাটের কে রয়েছে, পাছে হাতে পড়ে যায়। আর এক আনা ছেলেকে মাই ওয়া আর খদ্দেরের সঙ্গে কথা কওয়া । তেমনি যারা সংসারে আছে, দের পনর আনা মন ভগবানে দেওয়া উচিত । না দিলে সৰ্ব্বনাশ– লের হাতে পড়তে হবে । আর এক আনায় অন্তান্ত কৰ্ম্ম কর । “জ্ঞানের পর সংসারে থাকা যায়। কিন্তু আগে ত জ্ঞান লাভ রতে হবে। সংসার-রূপ জলে মন-রূপ দুধ রাখলে মিশে যাবে, ই মন-রূপ ভূধকে দই পেতে নির্জনে মন্থন ক’রে—মাখন তুলে— সার- রূপ জলে রাখতে হয় । “তা হলেই হলো, সাধনের দরকার। প্রথমাবস্থায় নির্জনে থাকা দরকার। অশ্বখ গাছ যখন চারা থাকে তখন বেড়া দিতে হয়, তা হলে ছাগল গরুতে খেয়ে ফেলে, কিন্তু গুড়ি মোটা হ'লে বেড়া খুলে ওয়া যায়। এমন কি হাতি বেঁধে দিলেও গাছের কিছু হয় না। • . , “তাই প্রথমাবস্থায় মাঝে মাঝে নির্জনে যেতে হয়। সাধনের ।