পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নরেন্দ্র ত্ৰৈলোক্য প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ৯৯ ৷ চিন্ময়,—কোষা-কুষি, বেদী, ঘরের চৌকাঠ—সব চিন্ময় ! মানুষ, জীব, জন্তু,—সব চিন্ময়। তখন উন্মত্তের ন্তায় চতুৰ্দ্দিকে পুষ্প বর্ষণ করতে । লাগলাম!—যা দেখি তাই পূজা করি! “একদিন পূজার সময় শিবের মাথায় বজ্র দিচ্ছি এমন সময় দেখিয়ে দিলে, এই বিরাট মূৰ্ত্তিই শিব। তখন শিব গড়ে পূজা বন্ধ হ’লো । ফুল তুলছি হঠাৎ দেখিয়ে দিলে যে ফুলের গাছগুলি যেন এক একটি ফুলের তোড়া।” t [ কাব্যরস ও ঈশ্বর দর্শনের প্রভেদ—‘ন কবিতাং বা জগদীশ’ ] ত্ৰৈলোক্য—আহা, ঈশ্বরের রচনা কি সুন্দর। শ্রীরামকৃষ্ণ—না গো, ঠিক দপ করে দেখিয়ে দিলে –হিসেব ক'রে নয়। দেখিয়ে দিলে যেন এক একটি ফুল গাছ এক একটি তোড়া, —সেই বিরাট মূৰ্ত্তির উপর শোভা করছে। সেই দিন থেকে ফুল তোলা বন্ধ হয়ে গেল। মাতুযকেও আমি ঠিক সেইরূপ দেখি । তিনিই যেন মানুষ শরীরটাকে লয়ে হেলে তুলে বেড়াচ্ছেন,—যেমন ঢেউয়ের উপর একটা বালিশ ভাস্ছে,—বালিশটা এদিক ওদিক নড়তে নড়তে চলে যাচ্চে, কিন্তু ঢেউ লেগে একবার উঁচু হচ্ছে আবার ঢেউয়ের সঙ্গে নীচে এসে পড়ছে । [ ঠাকুরের শরীর ধারণ কেন—ঠাকুরের সাধ ] “শরীরটা দুদিনের জন্য, তিনিই সত্য, শরীর এই আছে, এই নাই। অনেক দিন হ'লে যখন পেটের ব্যামোতে বড় ভুগছি, হৃদে বললে,— মাকে একবার বল না,—যাতে আরাম হয়। আমার রোগের জন্য বলতে লজ্জা হ’লো। বললুম, মা সুসাইটিতে (Asiatic Society) মানুষের হাড় (skeleton) দেখেছিলাম, তার দিয়ে জুড়ে জুড়ে মানুষের