পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:* ... " ' ". . . . . ; ... . . . . .” - “... আকৃতি, মা ! এ রকম করে শরীরটা একটু শক্ত করে দাও, তা হলে “বাঁচবার ইচ্ছা কেন? রাবণ বধের পর রাম লক্ষ্মণ লঙ্কায় প্রবেশ করলেন, রাবণের বাটতে গিয়ে দেখেন, রাবণের মা নিকষা পালিয়ে যাচ্চে। লক্ষ্মণ আশ্চর্য হয়ে বললেন, রাম, নিকষার সবংশ নাশ হলো তবু প্রাণের উপর এত টান। নিকষাকে কাছে ডাকিয়ে রাম বললেন, তোমার ভয় নাই, তুমি কেন পালাচ্ছিলে ? নিকষা বললে, রাম! আমি সেজন্য পালাই নাই,—বেঁচে ছিলাম বলে তোমার এত লীলা দেখতে পেলাম—যদি আরও বঁচি তো আরও কত লীলা দেখতে পাব ! তাই বঁচিবার সাধ । “বাসনা না থাকলে শরীর ধারণ হয় না । (সহস্ত্যে ) “আমার একটি আধটি সাধ ছিল । বলেছিলাম, মা কামিনী-কাঞ্চন, ত্যাগীর সঙ্গ দাও ; আর বলেছিলাম, তোর জ্ঞানী ও ভক্তের সঙ্গ করবো, তাই একটু শক্তি দে যাতে হাটতে পারি,—এখানে ওখানে যেতে পারি। তা হাটবার শক্তি দিলে না কিন্তু!” ত্ৰৈলোকু ( সহাস্তে )—সাধ কি মিটেছে ? শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে )–একটু বাকী আছে । (সকলের হাস্য )। “শরীরটা দুদিনের জন্য । হাত যখন ভেঙ্গে গেল, মাকে বললুম, মা বড় লাগছে ! তখন দেখিয়ে দিলে গাড়ি আর তার ইঞ্জিনিয়ার । গাড়ির একটা আধটা ইস্কু আলগা হয়ে গেছে। ইঞ্জিনিয়ার যেরূপ গাড়ি চালাচ্ছে গাড়ি সেইরূপ চলছে। নিজের কোন ক্ষমতা নাই । “তরে দেহের যত্ন করি কেন ? ঈশ্বরকে নিয়ে সম্ভোগ করবো ; তার নাম গুণ গাইবো, তার জ্ঞানী ভক্ত দেখে দেখে বেড়াবো।”