পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্ত্রপাঠ ও পাণ্ডিত্য মিথ্যা-তপস্যা চাই—বিজ্ঞানী পণ্ডিত বেদাদি শাস্ত্র পড়িয়াছেন ও জ্ঞান চর্চা করেন । ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া তাহাকে দেখিতেছেন ও গল্পচ্ছলে নানা উপদেশ দিতেছেন। - - শ্রীরামকৃষ্ণ ( পণ্ডিতের প্রতি )—বেদাদি অনেক শাস্ত্র আছে, কিন্তু সাধনা না করলে তপস্যা না করলে—ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না। “ষড়দর্শনে দর্শন মেলে না, আগম নিগম তন্ত্রসারে । “তবে শাস্ত্রে যা আছে, সেই সব জেনে নিয়ে সেই অনুসারে কাজ করতে হয়। একজন একখানা চিঠি হারিয়ে ফেলেছিল । কোথায় রেখেছে মনে নাই। তখন সে প্রদীপ লয়ে খুজতে লাগল। দু'তিন জন মিলে খুজে চিঠিখান পেলে । তাতে লেখা ছিল, পাচ সের সন্দেশ আর একখানা কাপড় পাঠাইবে । সেইটুকু পড়ে ল’য়ে সে আবার চিঠিখান ফেলে দিলে। তখন আর চিঠির কি দরকার। এখন /৫ সের সন্দুেশ আর ১ খন কাপড় কিনে পাঠালেই হবে। [The Art of Teaching—on, শ্রবণ ও দর্শনের তারতম্য ] • “পড়ার চেয়ে শুনা ভাল,—শুনার চেয়ে দেখা ভাল। গুরুমুখে বা সাধুমুখে শুনলে ধারণা বেশী হয়,—আর শাস্ত্রের অসার ভাগ চিন্ত৷ করতে হয় না । . . . . “হকুমান বলেছিল, ‘ভাই, আমি তিথি নক্ষঐ অত সব জানি না —আমি কেবল রাম চিন্তা করি।” “শুনার চেয়ে দেখা আরও ভাল । দেখলে সব সন্দেহ চলে যায় । শাস্ত্রে অনেক কথা ত আছে ; ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার না হ’লে—র্তার