পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ ঐশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ : [ ১৮৮৪, ৩০শে জুন জ্ঞানীর পক্ষে এ সংসার ধোকার টাটি। রামপ্রসাদ ধোকার টাটি বলেছিল । তাই একজন জবাব দিয়েছিল,— । . . . . এই সংসার মজার কুটি, আমি খাই দাই আর মজা লুটি। ৷ ওরে বছি নাহিক বুদ্ধি বুঝিস্ কেবল মোটামুটি ॥ । জনক, রাজা মহাতেজ তার কিসের ছিল ক্রটি । সে এদিক ওদিক দিক রেখে খেয়েছিল দুধের বাটি । ( সকলের হাস্য ) “বিজ্ঞানী ঈশ্বরের আনন্দ বিশেষরূপে সম্ভোগ করেছে । কেউ দুধ শুনেছে, কেউ দেখেছে, কেউ খেয়েছে। বিজ্ঞানী দুধ খেয়েছে আর খেয়ে আনন্দ লাভ করেছে ও হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে।” ঠাকুর একটু চুপ করিলেন ও পণ্ডিতকে তামাক খাইতে বলিলেন। পণ্ডিত দক্ষিণ-পূর্বের লম্বা বারান্দায় তামাক খাইতে গেলেন। - তৃতীয় পরিচ্ছেদ । জ্ঞান ও বিজ্ঞান—ঠাকুর ও (বাদাক্ত ঋষিগণ । পণ্ডিত ফিরিয়া আসিয়া আবার ভক্তদের সঙ্গে মেজেতে বসিলেন । ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আবার কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( পণ্ডিতের প্রতি )—তোমাকে এইটে বলি। আনন্দ তিনপ্রকার—বিষয়ানন্দ, ভজনানন্দ ও ব্রহ্মানন্দ । যা সববাই নিয়ে আছে—কামিনীকাঞ্চনের আনন্দ—তার নাম বিষয়ানন্দ। ঈশ্বরের নাম গুণগান করে যে আনন্দ তার নাম ভজনানন্দ । আর ভগবান দর্শনের য়ে আনন্দ তার নাম ব্ৰহ্মানন্দ । ব্ৰহ্মানন্দ লাভের পর ঋষিদের স্বেচ্ছাচার হয়ে যেতো । * 攀