পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ o, ঈশ্বরদর্শন জীবনের উদ্দেশ্য—তাহার উপায় [ ঐশ্বৰ্য্য ও মাধুর্য্য—কেহ কেহ ঐশ্বৰ্য্যজ্ঞান চায় না ] | ঠাকুর কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া আছেন। আবার কথা কহিতেছেন। ... " শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বর কল্পতরু । তার কাছে থেকে চাইতে হয় । । তখন যে যা চায় তাই পায় । “ঈশ্বর কত কি করেছেন। তার অনন্ত ব্ৰহ্মাও—তার অনন্ত ঐশ্বর্য্যের জ্ঞান আমার দরকার কি। আর যদি জানতে ইচ্ছা করে, আগে র্তাকে লাভ করতে হয়, তারপর তিনি ব’লে দেবেন। যত্ন মল্লিকের কখান। বাড়ি, কত কোম্পানির কাগজ আছে এসব আমার কি দরকার! আমার দরকার, যে সো করে বাবুর সঙ্গে আলাপ করা ! তা পগার ডিঙ্গিয়েই হোক –প্রার্থনা ক’রেই হোক! বা দ্বারবানের ধাক্কা খেয়েই হোক – আলাপের পর কত কি আছে একবার জিজ্ঞাসা করলে বাবুই বলে দেয়। আবার বাবুর সঙ্গে আলাপ হ’লে আমলারাও মানে। (সকলের হাস্য)। “কেউ কেউ ঐশ্বৰ্য্যের জ্ঞান চায় না। শুড়ীর দোকানে কত মন মদ আছে আমার কি দরকার । আমার এক বোতলেতেই হয়ে যায় । ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞান চাইবে কি, যেটুকু মদ খেয়েছে তাতেই মত্ত ! [ জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—অবতারাদি নিত্যসিদ্ধ ] “ভক্তিযোগ জ্ঞানযোগ এ সবই পথ । যে পথ দিয়েই যাও তাকে পাবে। ভক্তির পথ সহজ পথ। জ্ঞান বিচারের পথ কঠিন পথ। “কোন পথটি ভাল অতো বিচার করবার কি দরকার। বিজয়ের সঙ্গে অনেকদিন কথা হয়েছিল, বিজয়কে বললাম, একজন প্রার্থনা করতো, হে ঈশ্বর! তুমি যে কি, কেমন আছ, আমায় দেখ দাও!