পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ খ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৪, ৩০শে জুন পণ্ডিত্য অপেক্ষ সাধনা ভাল—বিবেক ] | পণ্ডিত-কুমীরের পেটে বর্ষা মারলে হয়। (সকলের হাস্য )। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—গুচ্ছির শাস্ত্র পড়লে কি হবে ?— ফ্যালাজফী (Philosophy) ! ( সকলের হাস্য )। পণ্ডিত ( সহাস্ত্যে )—ফ্যালাজফী বটে ! স্ত্রীরামকৃষ্ণ—লম্বা লম্বা কথা বললে কি হবে ? বাণ-শিক্ষা করতে গেলে আগে কলাগাছ তাগ করতে হয়,—তারপর শর গাছ,—তারপর সলতে,—তার পর উড়ে যাচ্ছে যে পাখী । o - “তাই আগে সাকারে মনস্থির করতে হয়। “আবার ত্রিগুণাতীত ভক্ত আছে,—নিত্য ভক্ত যেমন নারদাদি । সে ভক্তিতে চিন্ময় শ্যাম, চিন্ময় ধাম, চিন্ময় সেবক,—নিত্য ঈশ্বর, নিত্য ভক্ত, নিত্য ধাম । “যারা নেতি নেতি জ্ঞানবিচার করছে, তারা অবতার মানে না। হাজরা বেশ বলে,—ভক্তের জন্যই অবতার,—জ্ঞানীর জন্য অবতার নয়, তারা ত সোহহং হয়ে বসে আছে।” ঠাকুর ও ভক্তেরা সকলেই কিয়ৎকাল চুপ করিয়া আছেন। এইবার পণ্ডিত কথা কহিতেছেন। * পণ্ডিত—আজ্ঞে, কিসে নিষ্ঠুর ভাবটা যায় ? হাস্য দেখলে মাংসপেশী (muscles) স্বায়ু (nerves) মনে পড়ে। শোক দেখলে fo on nervous system (G og শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে )—নারাণ শাস্ত্রী তাই বলতে, শাস্ত্র পড়ার দোষ,—তর্ক বিচার এই সব এনে ফেলে !’ পণ্ডিত—আজ্ঞে, উপায় কি কিছুই নাই –একটু মাৰ্দ্দব—