পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে ।s२० ।। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—আছে—বিবেক। একটা গান আছে,— । বিবেক নামে তার বেটারে তত্ত্বকথা তায় সুধাবি।’ । “বিবেক 9 বৈরাগ্য, ঈশ্বরে অনুরাগ— এই উপায় | বিবেক न!। . হ’লে কথা কখন ঠিক ঠিক হয় না। সামাধ্যায়ী অনেক ব্যাখ্যার । পর বললে, ঈশ্বর নীরস’ ! একজন বলেছিল, ‘আমাদের মামাদের এক গোয়াল ঘোড়া আছে। গোয়ালে কি ঘোড়া থাকে ? (সহস্তে ) “তুমি ছানাবড়া হ’য়ে আছ। এখন দু’পাচ দিন রসে । - পড়ে থাকলে তোমার পক্ষেও ভাল, পরেরও ভাল ! পাঁচ দিন ।” । পণ্ডিত (ঈষৎ হাসিয়া )–ছানাবড়া পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্ত্যে )—না, না ; আরসোলার রং হয়েছে । হাজরা—বেশ ভাজা হয়েছে,—এখন রস খাবে বেশ । পূৰ্ব্বকথা—তোতাপুরীর উপদেশ— গীতার অর্থ—ব্যাকুল হও ] শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জান,–শাস্ত্র বেশী পড়বার দরকার নাই। বেশী পড়লে তর্ক বিচার এসে পড়ে । দ্যাংটা আমায় শেখাতো—উপদেশ দিতো—গীতা দশবার বললে যা হয় তাই গীতার সার — অর্থাৎ গীতা’ ‘গীতা’ দশবার বলতে বলতে ত্যাগী “ত্যাগী হ’য়ে যায়। । “উপায়—বিবেক, বৈরাগ্য, আর ঈশ্বরে অনুরাগ। কিরূপ অনুরাগ ? ঈশ্বরের জন্ত প্রাণ ব্যাকুল,— যেমন ব্যাকুল হয়ে ‘বৎসের পিছে গাভী ধায় ।” • . পণ্ডিত—বেদে ঠিক অমনি আছে, গাভী যেমন বৎসের জন্য ডাকে, তোমাকে আমরা তেমনি ডাকছি। শ্রীরামকৃষ্ণ—ব্যাকুলতার সঙ্গে কাদো। আর বিবেক বৈরাগ্য এনে যদি কেউ সৰ্ব্বত্যাগ করতে পারে,—তা হলে সাক্ষাৎকার হবে।

do