পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ খ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ - ১৮৮৪, ৩০শে জুন “কি জানে, রুচিভেদ, আর যার যা পেটে সয় । তিনি নানা ধৰ্ম্ম, নানা মত করেছেন—অধিকারী বিশেষের জন্য। সকলে ব্ৰহ্মজ্ঞানের অধিকারী নয়, তাই আবার তিনি সাকার পূজার ব্যবস্থা করেছেন। মা ছেলেদের জন্য বাড়িতে মাছ এনেছে। সেই মাছে ঝোল, অম্বল, ভাজা আবার পোলাও করলেন। সকলের পেটে কিছু পোলাও সয় না ; তাই কারু কারু জন্য মাছের ঝোল করেছেন,—তারা পেট রোগ । আবার কারু সাধ অম্বল খায়, বা মাছ ভাজা খায়। প্রকৃতি আলাদা— আবার অধিকারী ভেদ ।” • সকলে চুপ করিয়া আছেন । ঠাকুর পণ্ডিতকে বলিতেছেন, “যাও একবার ঠাকুর দর্শন করে এসো,—আবার বাগানে একটু বেড়াও ” বেলা সাড়ে পাচটা বাজিয়াছে। পণ্ডিত ও তাহার বন্ধুরা গাত্ৰোখান করিলেন ; ঠাকুরবাড়ি দেখিবেন । ভক্তেরাও কেহ কেহ তাহাদের সঙ্গে গেলেন । , কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর ও মাষ্টার সমভিব্যাহারে বেড়াইতে বেড়াইতে গঙ্গাতীরে বাধা ঘাটের দিকে যাইতেছেন । ঠাকুর মাষ্টারকে, বলিতেছেন। “বাবুরাম এখন বলে—পড়ে শুনে কি হবে ।” গঙ্গাতীরে পণ্ডিতের সহিত ঠাকুরের আবার দেখা হইল। ঠাকুর • বলিতেছেন, “কালী ঘরে যাবে না ?—তাই এলুম।” পণ্ডিত ব্যস্ত হইয়া বলিলেন—“আজ্ঞে, চলুন দর্শন করি গিয়ে।” ঠাকুর সহাস্তবদন। চাদনির ভিতর দিয়া কালী ঘরের দিকে যাইতে যাইতে বলিতেছেন, একটা “গানে আছে । এই বলিয়া মধুর সুর করিয়া গাহিতেছেন— • মা কি আমার কালো রে! কালরূপ দিগম্বরী হৃদিপদ্ম করে আলো রে!