পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৃত্য করিতেছেন। ভক্তেরা তাহাকে খুব বেড়িয়ে বেড়িয়ে নাচিতেছেন। বিজয় নৃত্য করিতে করিতে দিগম্বর হইয়া পড়িয়াছেন। হুস নাই। কীৰ্ত্তনান্তে বিজয় চাবি খুজিতেছেন, কোথায় পড়িয়া গিয়াছে। ঠাকুর বলিতেছেন, “এখানেও একটা হরিবোল খায়।” এই বলিয়। হাসিতেছেন। বিজয়কে আরও বলিতেছেন, “ওসব আর কেম!” (অর্থাৎ আর চাবির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কেন ) ! s কিশোরী প্রণাম করিয়া বিদায় লইতেছেন । ঠাকুর যেন স্নেহে আদ্র হইয় তাহার বক্ষে হাত দিলেন। আর বলিলেন, “তবে এসো।” কথাগুলি যেন করুণামাখা । কিয়ৎক্ষণ পরে মণি ও গোপাল কাছে আসিয়া প্রীম করিলেন--তাহারা বিদায় লইবেন। আবার সেই স্নেহমাখা কথা । কথাগুলি হইতে যেন মধু ঝরিতেছে । বলিতেছেন “কাল সকালে উঠে যেও, আবার হিম লাগবে ?” [ ভক্তসঙ্গে—ভক্তকথাপ্রসঙ্গে ] মণি ও গোপালের আর যাওয়া হইল না, তাহারা আজ রাত্রে থাকিবেন । তাহারা ও আরও ২১ জন ভক্ত মেজেতে বসিয়া আছেন কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীযুক্ত রাম চক্রবত্তাঁকে বলিতেছেন, “রাম এখানে যে আর একখানি-পাপোষ ছিল । কোথায় গেল ?” ঠাকুর সমস্ত দিন অবসর পান নাই—একটু বিশ্রাম করিতে পা নাই! ভক্তদের ফেলিয়া কোথায় যাইবেন ! এইবার একবার বহির্দেশে যাইতেছেন। ঘরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলে যে, মণি রামলালে নিকট গান লিখিয়া লইতেছেন— । 領 “তার তারিণি ! এবার ত্বরিত করিয়ে, তপন-তনয় ত্রাসে ত্ৰাসিত”—ইত্যাদি ।