পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলি কি তত্ত্বে, এ মর্ত্যে কুচিত্ত কুবৃত্ত করিলে কি হবে রে— । উচিত তো নয়, দাশরথিরে ডুবাবিরে— . . কর এ চিত্ত প্রা’চিত্ত, সে নিত্য পদ ভেবে ॥ ( গিরিশের প্রতি )—“তরে তরঙ্গে ভ্ৰভঙ্গে ত্ৰিভঙ্গে যেবা ভাবে । [ আছাশক্তি মহামায়ার পূজা ও আমমোক্তার বা বকলম! ] “মহামায়া দ্বার ছাড়লে তার দর্শন হয় । মহামায়ার দয়া চাই । তাই শক্তির উপাসনা । দেখন, কাছে ভগবান আছেন তবু তাকে জানবার যো নাই, মাঝে মহামায়া আছেন বলে । রাম, সীতা, লক্ষ্মণ যাচ্ছেন। আগে রাম মাঝে সীতা—সকলের পিছনে লক্ষ্মণ । রাম আড়াই হাত অন্তরে রয়েছেন, তবু লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছেন না। “র্তাকে উপাসনা করতে একটা ভাব আশ্রয় করতে হয় । আমার তিন ভাব,–সন্তান-ভাব, দাসী-ভাব আর সখী-ভাব । দাসী ভাব, সখীভাবে অনেক দিন ছিলাম । তখন মেয়েদের মত কাপড়, গয়না, ওড়ন পরতুম ! সন্তান-ভাব খুব ভাল । “বীরভাব ভাল না। নেড়া-নেড়ীদের, ভৈরব-ভৈরবীদের বীরভাব । অর্থাৎ প্রকৃতিকে স্ত্রীরূপে দেখ। আর রমণের দ্বারা প্রসন্ন করা, এভাবে প্রায়ই পতন আছে।” গিরিশ–আমার এক সময়ে ঐ ভাব এসেছিল । । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ চিন্তিত হইয়া গিরিশকে লেখিতে লাগিলেন। গিরিশ– ঐ আড়টুকু আছে, এখন উপায় কি বলুন ? শ্রীরামকৃষ্ণ—( কিয়ৎক্ষণ চিন্তার পর )—র্তাকে আমমোক্তারী দাও —তিনি যা করবার করুন । o