পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ । | هند o “একটা ভূত সঙ্গী খুজছিল। শনি মঙ্গলবারে অপঘাতে মৃত্যু হ’লে । ভূত হয়, তাই সে ভূতটা যাই দেখতে কেউ ছাদ থেকে পড়ে গেছে, - কি হেঁচট খেয়ে মূচ্ছিত হয়ে পড়েছে, অমনি দৌড়ে যেত,—এই মনে । ক’রে যে এটার অপঘাত মৃত্যু হয়েছে, এবার ভূত হবে, আর আমার । সঙ্গী হবে। কিন্তু তার এমনি কপাল যে দেখে, সব শালার বেঁচে উঠে ! সঙ্গী আর জোটে না । “দেখ না, রাখাল পরিবার পরিবার করে। বলে, আমার স্ত্রীর কি হবে । নরেন্দ্র'বুকে হাত দেওয়াতে বেহু'স হয়ে গিছলো, তখন বলে, ওগে, তুমি আমার কি করলে গো । আমার যে বাপ মা আছে গো ! “আমায় তিনি এ অবস্থায় রেখেছেন কেন ? চৈতন্যদেব সন্ন্যাস করলেন—সকলে প্রণাম করবে ব’লে, যারা একবার নমস্কার করবে তারা উদ্ধার হয়ে যাবে।” ঠাকুরের জন্য মোহিনীমোহন চাংড়া করিয়া সন্দেশ আনিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ–এ সন্দেশ কার ? বাবুরাম মোহিনীকে দেখাইয় দিলেন । ঠাকুর প্রণব উচ্চারণ করিয়া সন্দেশ স্পর্শ করিলেন ও কিঞ্চিৎ গ্রহণ করিয়া প্রসাদ করিয়া দিলেন। অতঃপর সেই সন্দেশ লইয়া ভক্তদের দিতেছেন। কি আশ্চৰ্য্য, ছোট নরেনকে ও আরও দুই একটি ছোকরা ভক্তকে নিজে খাওয়াইয়া দিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি )–এর একটি মানে আছে। নারায়ণ শুদ্ধাত্মাদের ভিতর বেশী প্রকাশ। ও দেশে যখন যেভূম ঐরূপ ছেলেদের কারু কারু মুখে নিজে খাবার দিতাম। চিনে শাখারী বলতে উনি আমাদের খাইয়ে দেন না কেন ? কেমন ক’রে দেব, কেউ ভাজমেগো ! কেউ অমুক-মেগে, কে খাইয়ে দেবে