পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইবার ব্রাহ্মণ যুবকটিকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন । । [ জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ-ব্রহ্মজ্ঞানীর অবস্থা ও জীবন্মুক্ত ] | শ্রীরামকৃষ্ণ ( যুবকের প্রতি )—তুমি জ্ঞান চর্চা ছাড়–ভক্তি নাও । —ভক্তিই সার –আজ তোমার কি তিন দিন হ’ল ? ব্রাহ্মণ যুবক ( হাত জোড় করিয়া )—আজ্ঞা হা । স্ত্রীরামকৃষ্ণ—বিশ্বাস করে –নির্ভরকরে—ত হ’লে নিজের কিছু করতে হবে না ! মা কালী সব করবেন ! “জ্ঞান সদর মহল পর্য্যন্ত যেতে পারে। ভক্তি অন্দর মহলে যায়। শুদ্ধাত্মা নির্লিপ্ত; বিদ্য, অবিদ্যা তার ভিতর দুইই আছে, তিনি নির্লিপ্ত। বায়ুতে কখনও সুগন্ধ কখনও দুর্গন্ধ পাওয়া যায়, কিন্তু বায়ু নির্লিপ্ত। ব্যাসদেব যমুনা পার হচ্ছিলেন, গোপীরাও সেখানে উপস্থিত। তারাও পারে যাবে—দধি, হুধ, ননী বিক্রি করতে যাচ্ছে কিন্তু নৌক৷ ছিল না, কেমন ক’রে পারে যাবেন – সকলে ভাবছেন । “এমন সময়ে ব্যাসদেব বললেন, আমার বড় ক্ষুধা পেয়েছে। তখন গোপীরা তাকে ক্ষীর, সর, ননী সমস্ত খাওয়াতে লাগলেন। ব্যাসদেব প্রায় সমস্ত খেয়ে ফেললেন ! - “তখন ব্যাসদেব যমুনাকে সম্বোধন ক'রে বলছেন—যমুনে ! আমি যদি কিছু না খেয়ে থাকি, তা হ’লে তোমার জল ছুই ভাগ হবে আর মাঝে রাস্ত দিয়ে আমরা চলে যাব । ঠিক তাই হ’ল ! যমুনা দুইভাগ হয়ে গেলেন, মাঝে ওপারে যাবার পথ । সেই পথ দিয়ে ব্যাসদেব ও ও গোপীরা সকলে পার হয়ে গেলেন । । “আমি খাই নাই? তার মানে এই যে আমি শুদ্ধাত্মা, শুদ্ধাত্মা । নির্লিপ্ত—প্রকৃতির পার। তার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাই ! জন্ম মৃত্যু নাই,— অজর অমর সুমেরুবৎ ! -