পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯• ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮৫, ৬ই এপ্রিল জিজ্ঞাসা করেছিল, সে বললে আমি এর বদলে নয় সের বেগুন দিতে পারি, এর একটাও বেশী দিতে পারি না। (সকলের হাস্য ও ছোট নরেনের উচ্চ হাস্য )। - ঠাকুর দেখিলেন, ছোট নরেন কথার মৰ্ম্ম ফসূ করিয়া বুঝিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ–এর কি সূক্ষ্ম বুদ্ধি। " এই রকম ফসূ করে বুঝে নিতো—গীত, ভাগবত, যেখানে যা, সে বুঝে নিতো। [ কৌমার বৈরাগ্য আশ্চৰ্য্য—বেখ্যার উদ্ধার কিরূপে হয় ] শ্রীরামকৃষ্ণ—ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চৰ্য্য ! খুব কম লোকের হয়! ত৷ ন হ'লে যেমন শিল-থেকে আম —ঠাকুরের সেবায় লাগে না—নিজে খেতে হয়। । “আগে অনেক পাপ করেছে, তারপর বুড়ে বয়সে হরিনাম কচ্চে, এ মন্দের ভাল । - - * “অমুক মল্লিকের মা, খুব বড় মানুষের ঘরের মেয়ে! বেশ্বাদের কথায় জিজ্ঞাসা করলে, ওদের কি কোন মতে উদ্ধার হবে না? নিজে আগে আগে অনেক রকম করেছে কিনা! তাই জিজ্ঞাসা করলে। আমি বললুম,—ই, হবে—যদি আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে কাদে, আর বলে আর করবে না। শুধু হরিনাম করলে কি হবে, আন্তরিক কাদতে হবে!”