পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ স্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ড্রাগ ( ১৮৮২, ৫ই আগষ্ট । (প্রিন্সিপ্যালের) কাজ ছাড়িয়া দিলেন। চতুর্থ-লোকাপেক্ষ । করিতেন না। একটি শিক্ষককে ভালবাসিতেন ; তাহার কন্যার । বিবাহের সময়ে নিজে আইবুড় ভাতের কাপড় বগলে করে এসে উপস্থিত। । পঞ্চম-মাতৃভক্তি ও মনের বল। মা বলিয়াছেন, ঈশ্বর তুমি যদি এই বিবাহে (ভ্রাতার বিবাহে ) না আসে তা হলে আমার ভারি মন খারাপ হবে,—তাই কলিকাতা হইতে হাটিয়া গেলেন। পথে দামোদর নদী , নৌকা নাই, সাতার দিয়া পার হইয়া গেলেন। সেই ভিজ কাপড়ে বিবাহ রাত্রেই বীরসিংহায় মার কাছে গিয়া উপস্থিত ! বললেন—ম, এসেছি ! । - [ শ্রীরামকৃষ্ণকে বিদ্যাসাগরের পূজা ও সম্ভাষণ ] - ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন ও কিয়ৎক্ষণ ভাবে দাড়াইয়া আছেন। ভাব সংবরণ করিবার জন্য মধ্যে মধ্যে বলিতেছেন, জল খাবো। দেখিতে দেখিতে বাড়ীর ছেলেরা ও আত্মীয় বন্ধুরা আসিয়া দাড়াইলেন । ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া বেঞ্চের উপর বসিতেছেন। একটি ১৭১৮ বছরের ছেলে সেই বেঞ্চে বসিয়া আছে—বিদ্যাসাগরের কাছে পড়াশুনার সাহায্য প্রার্থনা করিতে আসিয়াছে । ঠাকুর ভাবাবিষ্ট, ঋষির অন্তদৃষ্টি, ছেলের অন্তরের ভাব সব বুঝিয়াছেন। একটু সরিয়া বসিলেন ও ভাবে বলিতেছেন, ‘ম ! এ ছেলের বড় সংসারাসক্তি ! তোমার অবিদ্যার সংসার ! এ অবিদ্যার ছেলে |’ - - যে ব্যক্তি ব্রহ্মবিদ্যার জন্য ব্যাকুল নয়, শুধু ত থকারী বিদ্যা উপার্জন তাহার পক্ষে বিড়ম্বন মাত্র, এই কথা কি ঠাকুর বলিতেছেন ? বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া একজনকে জল আনিতে বলিলেন, ও মাষ্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, কিছু খাবার আনিলে ইনি খাবেন কি ?