পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ ঐত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ, [ ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল তীর্থ করতে হবে, পঞ্চতপা করতে হবে, ষোড়শোপচারে পূজা করতে হবে ইত্যাদি। তামসিক সাধন তমোগুণ আশ্রয় করে সাধন। জয় কালী ! কি, তুই দেখা দিবিনি! এই গলায় ছুরি দেব যদি দেখা না দিস । এ সাধনায় শুদ্ধাচার নাই,—যেমন তন্ত্রের সাধন । “সে অবস্থায় (সাধনার অবস্থায় ) অদ্ভুত সব দর্শন হতো, আত্মার রমণ প্রত্যক্ষ দেখলাম। আমার মত রূপ একজন আমার শরীরের ভিতর প্রবেশ করলে! আর ষটপদ্মের প্রত্যেক পদ্মের সঙ্গে রমণ করতে লাগল। যট্‌পদ্ম মুদিত হয়েছিল,—টক্ টক্‌ ক’রে রমণ করে আর একটি পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়—আর উধ্ব মুখ হয়ে যায় ! এইরূপে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, অনাহত, বিশুদ্ধ, আজ্ঞাচক্র, সহস্রার, সকল পদ্মগুলি ফুটে উঠল। আর নীচে মুখ ছিল উধ্বমুখ হলো, প্রত্যক্ষ দেখলাম। " o [ ধ্যানযোগ সাধনা—নিবাত নিষ্কম্পমিব প্রদীপমূ' ] “সাধনার সময় আমি ধ্যান করতে করতে আরোপ করতাম প্রদীপের শিখা—যখন হাওয়া নাই, একটুও নড়ে না,—তার আরোপ করতাম । “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্ত হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সঙ্গে বরযাত্রীরা, কত রোশনাই বাজনা গাড়ি ঘোড়া—কতক্ষণ ধ'রে কাছ দিয়ে চলে গেল । ব্যাধের কিন্তু হুস নাই, সে জানতে পারলে না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল । “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাতনাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাত হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে ক’রে টান মারবার উদ্যোগ করছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করছে, মহাশয়, অমুক বাড়য্যেদের বাড়ি