পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১. এগ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল নৰ্থ । মনকে জিজ্ঞাসা করলাম আবার,—মন তুই কি চাস , a, ভোগ করতে কি চাস্ ? মন বললে, 'না, কিছুই চাই না । ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া আর কিছুই চাই না মেয়েদের ভিতর-বার সমস্ত দেখতে পেলাম,—যেমন,—কাচের ঘ মস্ত জিনিস বা’র থেকে দেখা যায় ! তাদের ভিতর দেখলাম—নাড় হুড়ি, রক্ত, বিষ্ঠা, কৃমি, কফ, নাল, প্রস্রাব এই সব !” - [ অষ্টসিদ্ধি ও ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণ–গুরুগিরি ও বেশ্বাবৃত্তি ] ঐযুক্ত গিরিশ ঠাকুরের নাম করিয়া ব্যারাম ভাল করিব,—এই কথা মাঝে মাঝে বলিতেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( গিরিশ প্রভৃতি ভক্তেদের প্রতি )—যার হীনবুদ্ধি তারা সিদ্ধাই চায়। ব্যারাম ভাল করা, মোকদম জিতানে, জলে হেঁটে চলে যাওয়া, এই সব । যারা শুদ্ধ ভক্ত তারা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া আর কিছুই চায় না । হৃদে একদিন বললে, ‘মামা ! মার কাছে কিছু শক্তি চাও, কিছু সিদ্ধাই চাও’ । আমার বালকের স্বভাব,—কালীঘরে জপ করবার সময় মাকে বললাম, মা হৃদে বলছে কিছু শক্তি চাইতে, কিছু সিদ্ধাই চাইতে । অমনি দেখিয়ে দিলে সামনে এসে পেছন ফিরে উবু হয়ে বসলো—একজন বুড়ে বেশ্বা, চল্লিশ বছর বয়স--ধাম পোদ—কালাপেড়ে কাপড় পরী—পড়, পড় ক’রে হাগছে । মা দেখিয়ে দিলেন যে, সিদ্ধাই এই বুড়ো বেশ্যার বিষ্ঠা । তখন হৃদেকে গিয়ে বকুলাম আর বললাম, তুই কেন আমায় এরূপ কথা শিখিয়ে দিলি । তোর জন্যই ত আমার এরূপ হলো ! “যাদের একটু সিদ্ধাই থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা, লোকমান্য এই সব হয়। অনেকের ইচ্ছা গুরুগিরি করি,–পাচ জনে গণে মানে,—