পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১.৫ ঐন্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল সেই রূপ—সেই ভুবনমোহনরূপ—মনে পড়ছে। কৃষ্ণ ময়ীর * রূপ –কিন্তু চাউনিতে যেন জগৎটা নড়ছে! । ঠাকুর চুপ করিলেন। ঠাকুর আবার বলিতেছেন,—“আরও কত কি বলতে দেয় না!—মূখ যেন কে আটকে দেয় ! “সজনে তুলসী এক বোধ হতো ! ভেদ-বুদ্ধি দূর করে দিলেন। বটতলায় ধ্যান করছি, দেখালে একজন দেড়ে মুসলমান ( মোহম্মদ ) সানকি ক'রে ভাত নিয়ে সাম্নে এলো । সান্‌কি থেকে স্লেচ্ছদের খাইয়ে আমাকে ছুটি দিয়ে গেল। মা দেখালেন, এক বই দুই নাই । সচ্চিদানন্দই নানা রূপ ধরে রয়েছেন। তিনিই জীব জগৎ সমস্তই হয়েছেন । তিনিই অন্ন হয়েছেন । [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বালক-ভাব ও ভাবাবেশ ] ( গিরিশ, মাষ্টার প্রভৃতির প্রতি )—“আমার বালক-স্বভাব । হৃদে বললে, মামা, মাকে কিছু শক্তির কথা বলে,—অমনি মাকে বলতে চললাম! এমনি অবস্থায় রেখেছে যে, যে ব্যক্তি কাছে থাকবে তার কথা শুনতে হয়। ছোট ছেলের যেমন কাছে লোক না থাকলে অন্ধকার দেখে, —আমারও সেইরূপ হ'তো ! হৃদে কাছে না থাকলে প্রাণ যায় যায় হতো ! ঐ দেখো ঐ ভাবটা আসছে –কথা কইতে কইতে উদ্দীপন হয়।” এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন। দেশ কালবোধ চলিয়া যাইতেছে । অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন। ভাবে বলিতেছেন, “এখনও তোমাদের দেখছি,–কিন্তু

  • কৃষ্ণময়ী—বলরামের বালিকা কন্যা