পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২৪৫ আমার ভাব কেবল নজিরের জন্ত । তোমরা পাঁচটা নিয়ে আছ, আমি একটা নিয়ে আছি। আমার ঈশ্বর বই কিছু ভাল লাগে না । তার ইচ্ছে । ( সহাস্তে )। একডেলে গাছও আছে আবার পাঁচডেলে গাছও আছে। (সকলের হাস্য )। “আমার অবস্থা নজিরের জন্য । তোমরা সংসার করে, অনাসক্ত হ’য়ে । গায়ে কাদা লাগবে কিন্তু ঝেড়ে ফেলবে, পাকাল মাছের মতো । কলঙ্ক-সাগরে সাতার দেবে,—তবু গায়ে কলঙ্ক লাগবে না।” গিরিশ ( সহাস্ত্যে )—আপনারও তো বিয়ে আছে। ( হাস্য )। স্ত্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে )–সংস্কারের জন্য বিয়ে করতে হয়, কিন্তু সংসার আর কেমন ক’রে হবে! গলায় পৈতে পরিয়ে দেয় আবার খুলে খুলে পড়ে যায় –সাম্লাতে পারি নাই। এক মতে আছে, শুকদেবের বিয়ে হয়েছিল—সংস্কারের জন্য । একটি কন্যাও নাকি হয়েছিল । ( সকলের হাস্য ) । “কামিনী-কাঞ্চলই সংসার—ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।” গিরিশ–কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ে কই ? শ্রীরামকৃষ্ণ—তাকে ব্যাকুল হ’য়ে প্রার্থনা কর, বিবেকের জন্য প্রার্থনা কর । ঈশ্বরই সভ্য আর সব অনিত্য—এরই নাম বিবেক । জল-ছাকা দিয়ে ছেকে নিতে হয় । ময়লাট এক দিকে পড়ে,— ভাল জল এক দিকে পড়ে, বিবেকরূপ জল-ছাক আরোপ করে । তোমরা তাকে জেনে সংসার করে । এরই নাম বিদ্যার সংসার । “দেখ না, মেয়েমাতুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের । পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদাৰ্থ ক’রে রেখে দেয়। . যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ এক সঙ্গে বসে আছে, তখন বলি, আহা! এর