পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ। গামছা কার্থেই চলে গেল। সংসার গোছগাছ করতে । o না। বাড়ির দিকে একবার পেছন ফিরে চাইলেও না। । “যে ত্যাগ করবে তার খুব মনের বল চাই। ডাকাত পড়ার ভাব। জায়!! —ডাকাতি করবার আগে যেমন ডাকাতের বলে, মারো। লোটো ! কাটে । “কি আর তোমরা করবে ? তাতে ভক্তি প্রেম লাভ করে দিন কাটানো। কৃষ্ণের আদর্শনে যশোদা পাগলের হ্যায় শ্রীমতীর কাছে গেলেন । শ্ৰীমতী তার শোক দেখে আছাশক্তি রূপে দেখা দিলেন। বললেন, মা আমার কাছে বর নাও । যশোদা বললেন, মা আর কি ল’ব । তবে এই বল, যেন কায়মনোবাক্যে কৃষ্ণেরই সেবা করতে পারি। এই চক্ষে তার ভক্ত দর্শন,—যেখানে যেখানে তার লীলা, এই পা দিয়ে যেন সেখানে যেতে পারি,—এই হাতে তার সেবা আর তার ভক্ত সেবা,— সব ইন্দ্রিয়, যেন তারই কাজ করে ।” এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের আবার ভাবাবেশের উপক্রম হইতেছে । হঠাৎ আপনা আপনি বলিতেছেন, “সংহার মূৰ্ত্তি কালী !—ন নিত্যকালী !” ঠাকুর অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিলেন। এইবার একটু জল পান করিলেন । যশোদার কথা আবার বলিতে যাইতেছেন, শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখুয্যে আসিয়া উপস্থিত । ইনি ও ইহার কনিষ্ঠ শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখুয্যে ঠাকুরের কাছে নূতন যাওয়া আসা করিতেছেন। মহেন্দ্রের ময়দার কল ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। র্তাহার ভ্রাতা ইঞ্জিনীয়ারের কাজ করিতেন । ইহাদের কাজকৰ্ম্ম লোকজনে দেখে, নিজেদের খুব অবসর আছে। মহেন্দ্রের বয়স ৩৬৩৭ হইবে, ভ্রাতার বয়স আন্দাজ ৩৪.৩৫ । ইহাদের বাটা কেদেটি গ্রামে। কলিকাতা বাগবাজারেও একটি বসত বাটা আছে।