পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১. ক্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল জদের সঙ্গে একটি ছোকরা ভক্ত আসা যাওয়া করেন, তাহার নাম হরি। র্তাহার বিবাহ হইয়াছে ; কিন্তু ঠাকুরের উপর বড় ভক্তি। মহেন্দ্র অনেকদিন দক্ষিণেশ্বরে যান নাই। ইঙ্গিও যান নাই—আজ আa ছেন। মহেন্দ্র গৌরবণ ও সদা হাস্যমুখ, শরীর দোহারা। মহেন্দ্র ভূমি হইয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন। হরিও প্রণাম কলিন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ-কেন এতদিন দক্ষিণেশ্বরে যাওনি গেী ? মহেন্দ্ৰ—আজ্ঞে কেদেটিতে গিছলাম, কলকাতায় ছিলাম না। ঐরামকৃষ্ণ-পকগো ছেলেপূলে নাই,—কারু চাকরি করতে হয় না, —তবুও অবসর নাই! ভাল জালা ! ভক্তেরা সকলে চুপ করিয়া আছেন। মহেন্দ্র একটু অপ্রস্তুত। শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহেন্দ্রের প্রতি )—তোমায় বলি কেন—তুমি সরল উদার,—তোমার ঈশ্বরে ভক্তি আছে । মহেন্দ্র-আজ্ঞে, আপনি আমার ভালোর জন্যই বলেছেন। [ বিষয়ী ও টাকাওয়ালা সাধু—সস্তানের মায় ] স্ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে)—আর এখানকার যাত্রায় প্যাল দিতে হয় না। যদুর মা তাই বলে, ‘অন্য সাধু কেবল দাও দাও করে, বাবা তোমার উটি নাই’। বিষয়ী লোকের টাকা খরচ হ’লে বিরক্ত হয়। “এক জায়গায় যাত্রা হচ্ছিল । একজন লোকের বসে শোনবার ভারী ইচ্ছা । কিন্তু সে উকি মেরে দেখলে যে আসরে প্যালা পড়ছে, তখন সেখান থেকে আস্তে আস্তে পালিয়ে গেল। আর এক জায়গায় যাত্র হচ্ছিল, সেই জায়গায় গেল। সন্ধান ক’রে জানতে পারলে যে এখানে কেউ প্যালা দেবে না। ভারী ভিড় হয়েছে। সে দুই হাতে কনুই দিয়ে ভিড় ঠেলে ঠেলে আসরে গিয়ে উপস্থিত। আসরে ভাল ক'রে বসে গোপে চাড়া দিয়ে শুনতে লাগল। (হান্ত )