পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐরামকৃষ্ণ বলরাম-মর্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২১৭ ৷ গান ! আর সব লোকের গান আলুনি লাগে ! সে দিন নরেন্দ্রের গানও ভাল লাগলো না । সেইটে অমনি অমনি হোক না। ত্ৰৈলোক্য গাইতেছেন—‘জয় শচীনন্দন । ঠাকুর মুখ ধুইতে যাইতেছেন। মেয়ে ভক্তের চিকের পার্শ্বে ব্যাকুল হইয়া বসিয়া আছেন। তাহাদের কাছে গিয়া একবার দর্শন দিবেন। ত্ৰৈলোক্যের গান চলিতেছে । ঠাকুর ঘরের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া ত্ৰৈলোক্যকে বলিতেছেন,— একটু আনন্দময়ীর গান,—ত্ৰৈলোক্য গাইতেছেন,— কত ভালবাসা গো মা মানব সন্তানে, মনে হলে প্রেমধারা বহে নয়নে ( গো মা ) তব পদে অপরাধী, আছি আমি জন্মাবধি, তবু চেয়ে মুখ পানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে, মনে হলে প্রেমধারা বহে নয়নে । তোমার প্রেমের ভার, বহিতে পারি না গো আর, প্রাণ উঠিছে র্কাদিয়া, হৃদয় ভেদিয়া, তব স্নেহ দরশনে, লইতু শরণ মা গো তব শ্রীচরণে ( গো ম' ) | গান শুনিতে শুনিতে ছোট নরেন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হইয়াছেন, যেন কাষ্ঠবৎ ! ঠাকুর মাষ্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কি গভীর ধ্যান ! একেবারে বাহশূন্ত ” গান সমাপ্ত হইল । ঠাকুর ত্ৰৈলোক্যকে এই গানটি গাইতে বলিলেন । ‘দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে । রাম বলিতেছেন, কিছু হরিনাম হোক! ত্ৰৈলোক্য গাইতেছেন,— মন একবার হরি বল হরি বল হরি বল । হরি হরি হরি বলে, ভব সিন্ধু পারে চল ।