পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ঠাকুর গ্রীরামকৃষ্ণ জ্ঞানযোগ বা (বদান্ত বিড়ার বিদ্যাসাগর মহাপণ্ডিত । যখন সংস্কৃত কলেজে পড়িতেন, তখন নিজের শ্রেণীর সর্বোৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন। প্রতি পরীক্ষায় প্রথম হইতেন ও স্বর্ণপদকাদি.('medal ) বা ছাত্রবৃত্তি পাইতেন। ক্রমে সংস্কৃত কলেজের প্রধান অধ্যাপক হইয়াছিলেন। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সংস্কৃত কাব্যে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন । অধ্যবসায় গুণে নিজে চেষ্টা করিয়া ইংরাজি শিখিয়াছিলেন । ধৰ্ম্ম বিষয়ে বিদ্যাসাগর কাহাকেও শিক্ষা দিতেন না। তিনি দর্শনাদি গ্রন্থ পড়িয়াছিলেন। মাষ্টার একদিন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন —আপনার হিন্দুদর্শন কিরূপ লাগে ? তিনি বলিয়াছিলেন, আমার তো বোধ হয়,—ওরা যা বুঝাতে গেছে, বুঝাতে পারে নাই। হিন্দুদের ন্যায় শ্রাদ্ধাদি ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম সমস্ত করিতেন, গলায় উপবীত ধারণ করিতেন, বাঙ্গালায় যে সকল পত্র লিখিতেন, তাহাতে “শ্ৰীশ্ৰীহরিশরণম্” । ভগবানের এই বন্দন আগে করিতেন । মাষ্টার আর একদিন তাহার মুখে শুনিয়াছিলেন, তিনি ঈশ্বর সম্বন্ধে কিরূপ ভাবেন । বিদ্যাসাগর বলিয়াছিলেন, তাকে তো জানবার যে নাই ! এখন কৰ্ত্তব্য কি ? আমার মতে কৰ্ত্তব্য, আমাদের নিজের এরূপ হওয়া উচিত যে, সকলে যদি সেরূপ হয়, পুথিবী স্বর্গ হ’য়ে পড়বে। প্রত্যেকের চেষ্টা করা উচিত যাতে জগতের মঙ্গল হয়। বিদ্যা ও অবিদ্যার কথা কহিতে কহিতে ঠাকুর ব্রহ্মজ্ঞানের কথা