পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় বস্তু-বলরাম মন্দিরে ২৩১। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বর বালকস্বভাব। যেমন কোনও ছেলে কেঁচড়ে রত্ন লয়ে বসে আছে। কত লোক রাস্তা দিয়ে চলে যাচ্ছে । অনেকে তার কাছে রত্ন চাচ্ছে। কিন্তু সে কাপড়ে হাত চেপে মুখ ফিরিয়ে বলে, না আমি দেব না । আবার হয়ত যে চায়নি, চলে যাচ্ছে, পেছনে পেছনে দৌড়ে গিয়ে সেধে তাকে দিয়ে ফেলে ! [ ত্যাগ—তবে ঈশ্বর লাভ–পূর্বকথা—সেজোবাবুর ভাব ] শ্রীরামকৃষ্ণ-ত্যাগ না হ’লে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না। “আমার কথা লবে কে ? আমি সঙ্গী খুঁজছি,—আমার ভাবের লোক। খুব ভক্ত দেখলে মনে হয়, এই বুঝি আমার ভাব নিতে পারবে। আবার দেখি, সে আর একরকম হয়ে যায় ! “একটা ভূত সঙ্গী খুজছিল । শনি মঙ্গলবারে অপঘাতে মৃত্যু হ’লে ভূত হয়। ভূতটা, যেই ছাখে কেউ শনি মঙ্গলবারে ঐ রকম ক’রে মৰ্বছে, অমনি দৌড়ে যায়। মনে করে, এইবার বুঝি আমার সঙ্গী হ’ল । কিন্তু কাছেও যাওয়া, আর সে লোকটা দাড়িয়ে উঠেছে। হয় তো ছাদ থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়েছে, আবার বেঁচে উঠেছে । “সেজে বাবুর ভাব হ'ল । সৰ্ব্বদাই মাতালের মত থাকে-কেনিও কাজ করতে পারে না। তখন সবাই বলে, এ রকম হ’লে বিষয় দেখবে কে ? ছোট ভট্চার্জি নিশ্চয় কোনও তুক্‌ করেছে ! [ নরেন্দ্রের বেহুস হওয়া—গুরুশিষ্যের ছুটি গল্প ] “নরেন্দ্র যখন প্রথম প্রথম আসে, ওর বুকে হাত দিতে বেহুস হয়ে গেল । তারপর চৈতন্ত্য হ’লে কেঁদে বলতে লাগল, ওগো আমায় এমন করলে কেন ? আমার যে বাবা আছে, আমার যে মা আছে গো ! 'আমার’, ‘আমার করা, এটি অজ্ঞান থেকে হয় ।