পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ররামকৃষ্ণ কলিকাতায় বস্তু বলরাম মন্দিরে ২৩৩ । “শিত সব দেখছিল শুনছিল । সে তখন দাড়িয়ে উঠে পড়ল । নর বললে, গুরুদেব চলুন, আপনার সঙ্গে যাই। (সকলের হাস্ত)। । “আর একজন শিন্য গুরুকে বলেছিল, আমার স্ত্রী বড় যত্ন করে,ওর । তাকেও હાર્દિ কন্দি শিখিয়ে দিলেন। একদিন তার বাড়িতে খুব o কান্নাকাটি পড়েছে। পাড়ার লোকেরা এসে দেখে হঠযোগী ঘরে বসে । আছে—একে বেঁকে, আড়ষ্ট হয়ে। সবাই বুঝতে পারলে, তার প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে। স্ত্রী আছড়ে কাদছে, ‘ওগো আমাদের কি হ'লে গো-ওগো তুমি আমাদের কি ক’রে গেলে গো—ওগো দিদি গে, এমন হবে তা জানতাম না গো ! এ দিকে আত্মীয় বন্ধুরা খাট এনেছে, ওকে ঘর থেকে বার করছে । “এখন একটি গোল হ’ল। একে বেঁকে আড়ষ্ট হয়ে থাকাতে সে দ্বার দিয়ে বেরুচ্ছে না। তখন একজন প্রতিবেশী দৌড়ে একটি কাটারি লয়ে দ্বারের চৌকাট কাটতে লাগলো। স্ত্রী অস্থির হয়ে কাদছিল, সে হুম্ হুম্ শব্দ শুনে দৌড়ে এল। এসে র্কাদতে কাদতে জিজ্ঞাসা করলে, ওগো কি হ’য়েছে গো ! তারা বললে, ইনি বেরুচ্ছেন না, তাই চৌকাট কাটছি। তখন স্ত্রী বললে, ওগো আমন কৰ্ম্ম করে না গে। —আমি এখন রাড় বেওয়া হলুম। আমার আর দেখবার লোক কেউ নাই, কটি নাবালক ছেলেকে মানুষ করতে হবে ! এ দোয়ার গেলে আর ত হবে না । ওগো, ওর যা হবার তা তো হয়ে গেছে—হাত পা ওঁর কেটে দাও ! তখন হঠযোগী দাড়িয়ে পড়ল। তার তখন ঔষধের ঝোক চলে গেছে । দাড়িয়ে বলছে, ‘তবে রে শালী, আমার হাত পা কাটবে। এই বলে বাড়ি ত্যাগ করে । .গুরুর সঙ্গে চলে গেল । ( সকলের হাস্ত্য )। -