পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ রামের বাটতে ভক্তসঙ্গে । هوه ভক্তের চুপ করিয়া শুনিতেছেন। ঠাকুর হাসিতে হাসিতে । মহিমাচরণকে বলিতেছেন,—আপনার কি ভাল লাগে? মহিম ( সহাস্তে )—কিছুই না, আম ভাল লাগে। স্ত্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )—কি একলা একলা ? না, আপনিও খাবে সবাইকে একটু একটু দিবে ? মহিম ( সহাস্তে )— এতো দেবার ইচ্ছা নাই, একলা হ’লেও হয়। [ ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণের ঠিক ভাৰ ] স্ত্রীরামকৃষ্ণ—কিন্তু আমার ভাব কি জানো ? চোখ চাইলেই কি তিনি আর নাই ? আমি নিত্য লীলা দুইই লই । তাকে লাভ করলে জানতে পারা যায়, তিনি স্বরাট তিনিই বিয়াট। তিনিই অখণ্ডসচ্চিদানন্দ, তিনিই আবার জীব জগৎ হয়েছেন। [ শুধু শাস্ত্রজ্ঞান মিথ্যা—সাধন করিলে প্রত্যক্ষ জ্ঞান হয় ] “সাধনা চাই—শুধু শাস্ত্র পড়লে হয় না। দেখলাম বিদ্যাসাগরকে —অনেক পড়া আছে, কিন্তু অন্তরে কি আছে দেখে নাই । ছেলেদের লেখাপড়া শিখিয়ে আনন্দ । ভগবানের আনন্দের আস্বাদ পায় নাই । শুধু পড়লে কি হবে ? ধারণা কই ? পাজিতে লিখেছে, বিশ আড়া জল, কিন্তু পাজি টিপলে এক ফোটাও পড়ে না ।” মহিমা-সংসারে অনেক কাজ, সাধনার অবসর কৈ ? শ্রীরামকৃষ্ণ-কেন তুমি ত বল সব স্বপ্লবৎ ? “সম্মুখে সমুদ্র দেখে লক্ষ্মণ ধতুৰ্ব্বাণ হাতে ক'রে ক্রুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, আমি বরুণকে বধ করবো, এই সমুদ্র আমাদের লঙ্কায় যেতে দিচ্ছে না ; রাম বুঝালেন, লক্ষ্মণ এ যা কিছু দেখছে। এসব ত