পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫. ক্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ২৩শে৯ স্বপ্লবৎ, অনিত্য-সমুদ্রও অনিত্য-তোমার রাগও অনিত্য। মিথ্য: মিথ্যা দ্বারা বধ করা সেটাও মিথ্যা।” - মহিমাচরণ চুপ করিয়া রহিলেন । [ কৰ্ম্মযোগ না ভক্তিযোগ ?—সৎগুরু কে ? ] মহিমাচরণের সংসারে অনেক কাছ । আর তিনি একটি নূতন স্কুল করিয়াছেন,—পরোপকারের জন্ত । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আবার কথা কহিতেছেন,— শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি )—শন্তু বললে—আমার ইচ্ছা যে এই টাকাগুলা সৎকৰ্ম্মে ব্যয় করি, স্কুল ডিস্পেন্সার করে দি, রাস্তা ঘাট ক’রে দি । আমি বললাম নিষ্কামভাবে করতে পার সে ভাল, কিন্তু নিষ্কাম কৰ্ম্ম করা বড় কঠিন,—কোন দিক দিয়া কামনা এসে পড়ে । আর একটা কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করি, যদি ঈশ্বর সাক্ষাৎকার হন, তা হলে তার কাছে তুমি কি কতকগুলি স্কুল, ডিস্পেন্সারী, হাসপাতাল এই সব চাইবে ? একজন ভক্ত-মহাশয়! সংসারীদের উপায় কি ? শ্রীরামকৃষ্ণ—সাধুসঙ্গ ; ঈশ্বরীয় কথা শোনা । “সংসারীরা মাতাল হ’য়ে আছে, কামিনী-কাঞ্চনে মত্ত। মাতালকে চালুনির জল একটু একটু খাওয়াতে খাওয়াতে ক্রমে ক্রমে হুস হয়। “আর সৎ গুরুর কাছে উপদেশ লতে হয়। সৎগুরুর লক্ষণ আছে। যে কাশী গিয়েছে আর দেখেছে, তার কাছেই কাশীর কথা শুনতে হয়। শুধু পণ্ডিত হ'লে হয় না। যার সংসার অনিত্য বলে বোধ হয় নাই, সে পণ্ডিতের কাছে উপদেশ লওয়া উচিত নয়। পণ্ডিতের বিবেক বৈরাগ্য থাকলে তবে উপদেশ দিতে পারে। & C