পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ রামের বাটতে ভক্তসঙ্গে ১৫১ ৷ “দামাধ্যায়ী বলেছিল, ঈশ্বর নীরস। যিনি রসস্বরূপ, তাকে Aহল বলেছিল । যেমন একজন বলেছিল, আমার মামার বাটতে এক গোয়াল ঘোড়া আছে, (সকলের হাস্য )। [ অজ্ঞান—আমি ও আমার—জ্ঞান ও বিজ্ঞান ] శ్రీ “সংসারীরা মাতাল হ'য়ে আছে। সৰ্ব্বদাই মনে করে, আমিই এই সব করছি। আর গৃহ পরিবার এ সব আমার । দাত ছরকুটে বলে, ‘এদের ( মাগ ছেলেদের ) কি হবে ! আমি না থাকলে এদের কি ক’রে চলবে। আমার স্ত্রী পরিবার কে দেখবে? রাখাল বললে, আমার স্ত্রীর কি হবে ।” - হরমোহন—রাখাল এই কথা বললে ? শ্রীরামকৃষ্ণ—তা বলবে না তো কি করবে ? যার আছে জ্ঞান তার আছে অজ্ঞান ৷ লক্ষ্মণ রামকে বললেন, রাম একি আশ্চর্য্য ! সাক্ষাৎ বশিষ্ঠদেব— তার পুত্ৰশোক হ’ল ? রাম বললেন, ভাই, যার আছে জ্ঞান, তার আছে অজ্ঞান । ভাই ! জ্ঞান-অজ্ঞানের পারে যাও। “যেমন কারু পায়ে একটি কাটা ফুটেছে, সে ঐ কঁাটাটি তোলবার জন্য আর একটি কাটা যোগাড় ক’রে আনে । তার পর কাটা দিয়ে কাটাটি তুলবার পর, দুটি কাটাই ফেলে দেয় । অজ্ঞান-কাট তুলবার জন্য জ্ঞান-কাটা আহরণ করতে হয়। তার পর জ্ঞান অজ্ঞান দুই কাটা ফেলে দিলে হয় বিজ্ঞান। ঈশ্বর আছেন এইটি বোধে বোধ করে তাকে বিশেষরূপে জানতে হয়, তার সঙ্গে বিশেষরূপে আলাপ করতে হয়,—এরই নাম বিজ্ঞান। তাই ঠাকুর ( শ্রীকৃষ্ণ ) অৰ্জ্জুনকে বলেছিলেন—তুমি ত্রিগুণাতীত হও । । “এই বিজ্ঞান লাভ করবার জন্য বিদ্যামায়া আশ্রয় করতে হয়।