পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ಫ್ಲಿಪ್ನಿಘ್ತ– ಈ” [೨೪+4, ಲೆ ಕ್ಲ; [ কাপ্তেনের চরিত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ-পুরুষপ্রকৃতি যোগ ] ঠাকুর কাপ্তেনের বাড়ি গিয়াছিলেন—সেই গল্প করিতেছেন। যে সব ছেলেরা ঠাকুরের কাছে আসে, কাপ্তেন তাহাদের নিন্দ করিয়াছিলেন। হাজরা মহাশয়ের কাছে বোধ হয় তাহাদের নিন্দ শুনিয়াছিলেন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ–কাপ্তেনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমি বললাম, পুরুষ আর প্রকৃতি ছাড়া আর কিছুই নাই। নারদ বলেছিলেন, হে রাম, যত পুরুষ দেখতে পাও, সব তোমার অংশ ; আর যত স্ত্রী দেখতে পাও, সব সীতার অংশ । “কাপ্তেন খুব খুশি। বললে আপনারই ঠিক বোধ হয়েছে, সব পুরুষ রামের অংশে রাম, সব স্ত্রী সীতার অংশে সীতা ! “এই কথা এই বললে, আবার তারই পর ছোকরাদের নিন্দা আরম্ভ করলে ! বলে, ‘ওরা ইংরাজী পড়ে,—যা তা খায়,—ওরা তোমার কাছে সৰ্ব্বদা যায়—সে ভাল নয়। ওতে তোমার খারাপ হতে পারে। হাজরা যা একটি লোক, খুব লোক । ওদের অত যেতে দেবেন না।’ আমি প্রথমে বললাম, যায় তা কি করি ? “ভার পর পাণ (প্রাণ ) থেতলে দিলাম। ওর মেয়ে হাসতে লাগল। বললাম, যে লোকের বিষয়বুদ্ধি আছে, সে লোক থেকে ঈশ্বর অনেক দূর। বিষয়বুদ্ধি যদি না থাকে, সে ব্যক্তির তিনি হাতের ভিতর —অতি নিকটে । কাপ্তেন রাখালের কথায় বলে যে, ও সকলের বাড়িতে খায়। বুঝি হাজরার কাছে শুনেছে। তখন বললাম, লোকে হাজার তপ জপ করুক, যদি বিষয়বুদ্ধি থাকে, তা হ’লে কিছুই হবে না ; আর শূকর মাংস খেয়ে যদি ঈশ্বরে মন থাকে, সে ব্যক্তি ধন্ত ! তার ক্রমে ঈশ্বর লাভ হবেই। হাজরা এত তপ জপ করে, কিন্তু ওর মধ্যে দালালি করবে—এই চেষ্টায় থাকে। t