পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে কষ্ট করে আনলে ? : - “তিনি ভক্তাধীন ! দুৰ্য্যোধন অত যত্ন দেখালে, আর বললে, এখানে খাওয়া দাওয়া করুন, ঠাকুর (শ্ৰীকৃষ্ণ ) কিন্তু বিছরের কুটিরে গেলেন। তিনি ভক্তবৎসল, বিছরের শুকান্ন স্বধার স্থায় খেলেন! “পূর্ণজ্ঞানীর আর একটি লক্ষণ-পিশাচবৎ। খাওয়া-দাওয়া বিচার নাই—শুচি-অশুচির বিচার নাই ! পুর্ণজ্ঞানী ও পূর্ণমুখ, দুইজনেরই বাহিরের লক্ষণ এক রকম । পুর্ণজ্ঞানী হয় ত গঙ্গাস্বানে মন্ত্র পাঠ করলে না, ঠাকুরপুজা করবার সময় ফুলগুলি হয় ত এক সঙ্গে ঠাকুরের চরণে দিয়ে চলে এল, কোলঙ্ক ন্ত্ৰি-মন্ত্র ना ; : [ কৰ্ম্মী ও ঠাকুর গ্রীরামকৃষ্ণ-কৰ্ম্ম কতক্ষণ ? ] | “যতদিন সংসারের ভোগ করবার ইচ্ছা থাকে, ততদিন কৰ্ম্মত্যাগ করতে পারে না। যতক্ষণ ভোগের আশা ততক্ষণ কৰ্ম্ম । “একটি পাখি জাহাজের মাস্তুলে অন্ত্যমনস্কে বসে ছিল। জাহাজ গঙ্গার ভিতর ছিল, ক্রমে মহাসমুদ্রে এসে পড়ল। তখন পাখির চটক ভাঙ্গলো, সে দেখলে চতুদিকে কুল-কিনারা নাই। তখন ডাঙায় ফিরে যাবার জন্য উত্তর দিকে উড়ে গেল। অনেক দূর গিয়ে শ্রান্ত হয়ে গেল, তবু কুল-কিনারা দেখতে পেলে না। তখন কি করে, ফিরে এসে আবার মাস্তুলে বসল । “অনেকক্ষণ পরে পাখিটা আবার উড়ে গেল,—এবার পূর্ব দিকে গেলু । সেদিকে কিছুই দেখতে পেলে না, চারিদিকে কেবল আকুল পাথর | তখন ভারী পরিশ্রান্ত হ’য়ে আবার জাহাজে ফিরে এসে মাস্তলের উপর বসল। অনেকক্ষণ জিরিয়ে একবার দক্ষিণ দিকে গেল,