পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

..' . . . . . . . . . . . . . পশ্চিম দিকে গেল। যখন দেখলে কোথাও কুল-কিনারা o নাই, তখন সেই মাস্তলের উপর বসল, আর উঠল না। নিশ্চেষ্ট হয়ে । বলে রইল। তখন মনে আর কোনও ব্যস্তভাব বা অশান্তি রইল না। নিশ্চিন্ত হয়েছে, আর কোনও চেষ্টাও নাই ।” কাপ্তেন—আহা কেয়৷ नूठेखि ! - [ ভোগান্তে ব্যাকুলতা ও ঈশ্বর লাভ ] স্ত্রীরামকৃষ্ণ–সংসার লোকেরা যখন মুখের জন্য চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, আর পায় না, আর শেষে পরিশ্রান্ত হয় ; যখন কামিনীকাঞ্চনে আসক্ত হয়ে কেবল দুঃখ পায়, তখনই বৈরাগ্য আসে, ত্যাগ । আসে। ভোগ না করলে অনেকের ত্যাগ হয় না। কুটিচক আর । বহুদক। সাধকদের ভিতরেও অনেকে কেউ কেউ অনেক তীর্থে ঘোরে। । এক জায়গায় স্থির হ’য়ে বসতে পারে না; অনেক তীর্থের छैनक-नि। . জল খায় ! যখন ঘুরে ঘুরে ক্ষোভ মিটে যায়, তখন এক জায়গায় কুটির বেঁধে বসে। আর নিশ্চিন্ত ও চেষ্টাশূন্ত হয়ে ভগবানকে চিন্তা করে। “কিন্তু কি ভোগ সংসারে করবে ? কামিনী-কাঞ্চন ভোগ ? সে ত ক্ষণিক আনন্দ । এই আছে, এই নাই ! * “প্রায় মেঘ ও বর্ষা লেগে আছে, সূৰ্য্য দেখা যায় না! দুঃখের ভাগই বেশী ! আর কামিনী-কাঞ্চনমেঘ সূৰ্য্যকে দেখতে দেয় না। “কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে, মশায়, ঈশ্বর কেন এমন সংসার করলেন ? আমাদের কি কোনও উপায় নাই ? [ উপায়—ব্যাকুলতা—ত্যাগ ] “আমি বলি, উপায় থাকবে না কেন ? তার শরণাগত হও, আর ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, যাতে অনুকূল হাওয়া বয়,-যাতে শুভযোগ ঘটে। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তিনি শুনবেনই শুনবেন।