পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীনন্দ বসুর বাটতে ভক্তসঙ্গে ՏեԳ ঐরামকৃষ্ণ—তোমরা কোথায় । তিনিই সব হয়েছেন। যতক্ষণ । না তাকে জানতে পাচ্চ, ততক্ষণ আমি ‘আমি করছ! o “সকলে তাকে জানতে পারবে—সকলেই উদ্ধার হবে, তবে কেহ সকাল সকাল খেতে পায়, কেহ ছুপুর বেল, কেহ বা সন্ধ্যার সময় ; কিন্তু কেহ অভূক্ত থাকবে না! সকলেই আপনার স্বরূপকে জানতে পারবে ।” পশুপতি—আজ্ঞা হা, তিনিই সব হয়েছেন বোধ হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ-আমি কি, এটা খোজো দেখি। আমি কি হাড়, না মাংস, না রক্ত, না নাড়ীভুড়ি ? আমি খুঁজতে খুজতে তুমি এসে পড়ে, অর্থাৎ অন্তরে সেই ঈশ্বরের শক্তি বই আর কিছুই নাই। “আমি” নাই !—তিনি। তোমার অভিমান নাই ! এত ঐশ্বৰ্য্য । “আমি” একেবারে ত্যাগ হয় না ; তাই যদি যাবে না, তবে থাক শ্বালা ঈশ্বরের দাস হ’য়ে । ( সকলের হাস্য )। ঈশ্বরের ভক্ত, ঈশ্বরের ছেলে, ঈশ্বরের দাস, এ অভিমান ভাল । যে ‘আমি কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত । হয়, সেই ‘আমি কাচা আমি, সে 'আমি ত্যাগ করতে হয়। অহঙ্কারের এইরূপ ব্যাখা শুনিয়া গৃহস্বামী ও অন্তান্ত সকলে । সাতিশয় প্রীতিলাভ করিলেন । [ ঐশ্বৰ্য্যের অহঙ্কার ও মত্তত ] শ্রীরামকৃষ্ণ—জ্ঞানের ছুটি লক্ষণই, প্রথম অভিমান থাকবে না ; দ্বিতীয় শাস্ত স্বভাব। তোমার দুই লক্ষণ আছে। অতএব তোমার উপর ঈশ্বরের অনুগ্রহ আছে। “বেণী ঐশ্বৰ্য্য হলে, ঈশ্বরকে ভুল হয়ে যায় ; ঐশ্বৰ্য্যের স্বভাবই ঐ। যছ মল্লিকের বেশী ঐশ্বৰ্য হয়েছে, সে আজকাল ঈশ্বরীয় কথা কয় না। আগে আগে বেশ ঈশ্বরের কথা কইত । -