পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯. স্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ২৮শে জুলাই - , ; ; ; ; ;് করেছিল। ভাই তার হরিণ হয়ে জন্মতে হল। ভাই রূপ, ধ্যান, পূজা । এ সব রাত দিন অভ্যাস করতে হয়—তাহলে মৃত্যুকালে ঈশ্বর চত্ব আসে—অভ্যাসের গুণে। এরূপে মৃত্যু হ'লে ঈশ্বরের স্বরূপ পায়। “কেশব সেনও পরলোকের কথা জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি কেশবকেও বললুম। “এ সব হিসাবে তোমার কি দরকার ? তারপর আবার বললুম, যতক্ষণ না ঈশ্বর লাভ হয়, ততক্ষণ পুনঃ পুনঃ সংসারে যাতায়াত করতে হবে। কুমোরের হাড়ি সরা রৌদ্রে শুকুতে দেয় । - ছাগল গরুতে মাড়িয়ে যদি ভেঙ্গে দেয় তা হ’লে তৈরি লাল হাড়িগুল ফেলে দেয়। কাচাগুলা কিন্তু আবার নিয়ে কাদা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলে ও আবার চাকে দেয় ।” গ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্তুের মঙ্গল কামনা—রজাগুণের চিহ্ন এপর্যন্ত গুস্বামী ঠাকুরের মিঃ মুখ করাইবার কোনও টেষ্ট করেন নাই। ঠাকুর স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া গৃহস্বামীকে বলিতেছেন ; " | “কিছু খেতে হয়। যন্থর মাকে তাই সেদিন বললুম—“ওগে কিছু (খেতে) দাও ! তা না হ’লে পাছে গৃহস্থের অমঙ্গল হয় ” । গৃহস্বামী কিছু মিষ্টান্ন আনাইয়া দিলেন। ঠাকুর বাইতেছেন। নন্দ বসু ও অন্যান্য সকলে ঠাকুরের দিকে একপৃষ্টে চাহিয়া অইল । দেখিতেছেন তিনি কি কি করেন। ঠাকুর হাত ধুইবেন, চাদরের উপর রেকবি করিয়া মিষ্টান্ন %ে। হইয়াছিল, সেখানে হাত ধোয় হইবে না। হাত ধুইবার জন্য এজন ভূত্য পিকদানি আনিয়া উপস্থিত করিল। { . Ž