পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঞ্জ পরিচ্ছেদ ভক্তিযোগের রহস্য The Secret of Dualism শ্রীরামকৃষ্ণ-বিজ্ঞানী কেন ভক্তি লয়ে থাকে? এর উত্তর এই যে ‘আমি যায় না। সমাধি অবস্থায় যায় বটে কিন্তু আবার এসে পড়ে । আর সাধারণ জীবের অহং যায় না। অশ্বখ গাছ কেটে দাও, তার পর দিন ফেকুড়ি বেরিয়েছে। ( সকলের হাস্য ) ! “জ্ঞানলাভের পরও আবার কোথা থেকে ‘আমি এসে পড়ে! স্বপনে বাঘ দেখেছিলে, তারপর জাগলে, তবুও তোমার বুক ছুড়ঙ্কুড় করছে। জীবের আমি ল’য়েই ত যত যন্ত্রণা। গরু ‘হাম্বা’ ( আমি ) ‘হাম্বা’ ( আমি ) করে, তাই ত অত যন্ত্রণ। লাঙলে যোড়ে, রোদ বৃষ্টি গায়ের উপর দিয়ে যায়, আবার কসাইয়ে কাটে, চামড়ায় জুতা হয়, ঢোল হয়,—তখন খুব পেটে । ( হাস্য )। ‘তবুও নিস্তার নাই। শেষে নাড়ী-ভুড়ী থেকে তাত তৈয়ার হয় । সেই তাতে ধুতুরীর যন্ত্র হয়। তখন আর ‘আমি বলে না, তখন বলে তুহু তুহু', (অর্থাৎ তুমি’, ‘তুমি', )। যখন তুমি', 'তুমি, বলে তখন নিস্তার। হে ঈশ্বর আমি দাস, তুমি প্রভু। আমি ছেলে, তুমি মা । “রাম জিজ্ঞাসা করিলেন, হনুমান, তুমি আমায় কি ভাবে দেখো ! হনুমান বললে, রাম! যখন 'আমি বলে আমার বোধ থাকে, তখন দেখি, তুমি পূর্ণ আমি অংশ, তুমি প্রভু আমি দাস। আর রাম! যখন তত্ত্বজ্ঞান হয়, তখন দেখি, তুমিই আমি, আমিই তুমি।