পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরের বাটতে গ্রীরামকৃষ্ণ . ১৭ “সেব্য সেবক ভাবই ভাল। আমি ত যাবার নয়। তবে থাক্‌ শালা ‘দাস আমি হ’য়ে। • [ বিদ্যাসাগরকে শিক্ষা—“আমি ও আমার অজ্ঞান ] “আমি ও আমার এই দু'টি অজ্ঞান। ‘আমার বাড়ী, ‘আমার টাকা,’ ‘আমার বিদ্যা,’ ‘আমার এই সব ঐশ্বৰ্য্য', এই যে ভাব, এটি অজ্ঞান থেকে হয় । হে ঈশ্বর, তুমি কৰ্ত্তা আর এ সব তোমার জিনিস —বাড়ী, পরিবার, ছেলেপূলে, লোকজন, বন্ধু বান্ধব, এ সব তোমার জিনিস?—এ ভাব জ্ঞান থেকে হয় । I “মৃত্যুকে সৰ্ব্বদা মনে রাখা উচিত। মরবার পর কিছুই থাকবে না। এখানে কতকগুলি কৰ্ম্ম করতে আসা। যেমন পাড়াগায়ে বাড়ী—কলকাতায় কৰ্ম্ম করতে আসা। বড় মানুষের বাগানের সরকার বাগান যদি কেউ দেখতে আসে তো বলে “এ বাগানটি আমাদের’, এ পুকুর আমাদের পুকুর । কিন্তু কোন দোষ দেখে বাবু যদি ছাড়িয়ে দেয়, তার আমের সিন্দুকটা লয়ে যাবার যোগ্যতা থাকে না, দারোয়ানকে দিয়ে সিন্দুকটা পাঠিয়ে দেয় । (হাস্য )। “ভগবান ই কথায় হাসেন । কবিরাজ যখন রোগীর মাকে বলে, ‘ম ! ভয় কি ? আমি তোমার ছেলেকে ভাল ক'রে দিব”—তখন একবার হাসেন ; এই বলে হাসেন, আমি মারছি, আর এ কি না বলে আমি বঁাচাব! কবিরাজ ভাবছে, আমি কৰ্ত্তা, ঈশ্বর যে কৰ্ত্তা, এ কথা ভুলে গেছে। তারপর যখন দুই ভাই দড়ি ফেলে জায়গা ভাগ করে, আর বলে এ দিকটা আমার, ওদিকটা তোমার’, তখন ঈশ্বর আর একবার হাসেন ; এই মনে ক'রে হাসেন, আমার জগৎ ব্রহ্মাণ্ড কিন্তু ওরা বলছে, এ জায়গা আমার আর তোমার । । ༄སློ--ཅུ