পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খামপুকুর বাটতে ভক্তসঙ্গে ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ ৩১৫ । “যত এগিয়ে যাবে ততই ভগবানের উপাধি কম দেখতে পাবে ? ভক্ত প্রথম দৰ্শন করলে দশভূজা । আরও এগিয়ে গিয়ে দেখলে ষড়ভূজা। আরও এগিয়ে গিয়ে দেখছে, দ্বিভূজ গোপাল। যত এগুচ্ছে ততই ঐশ্বৰ্য্য কমে যাচ্ছে। আরও এগিয়ে গেল, তখন জ্যোতিদৰ্শন । কল্লে—কোনও উপাধি নাই । vł “একটু বেদান্তের বিচার শোন। এক রাজার সামনে একজন ভেলকি দেখাতে এসেছিল । একটু সরে যাওয়ার পর রাজা দেখলে, একজন সওয়ার আসছে। ঘোড়ার উপর চড়ে, খুব সাজগোজ— হাতে অস্ত্রশস্ত্র । সভাশুদ্ধ লোক আর রাজা বিচার কচ্ছে, এর ভিতর সত্য কি ? ঘোড়া ত সত্য নয়, সাজগোজ, অস্ত্রশস্ত্ৰও সত্য নয় } শেষে সত্য সত্য দেখলে যে, সওয়ার একলা দাড়িয়ে রয়েছে ! কিনা, ব্ৰহ্ম সত্য জগৎ মিথ্য–বিচার করতে গেলে কিছুই টেকে না ।” ডাক্তার—এতে আমার আপত্তি নাই । [The World ( Hoifa ) and the Scare-Crow ) শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে এ ভ্রম সহজে যায় না । জ্ঞানের পরও থাকে । স্বপনে বাঘকে দেখেছে, স্বপন ভেঙ্গে গেল, তবু বুক ছড় ছড় করছে ! “ক্ষেতে চুরি করতে চোর এসেছে। খড়ের ছবি মানুষের আকার ক’রে রেখে দিয়েছে—ভয় দেখাবার জন্য । চোরেরা কোনও মতে ঢুকতে পারছে না । একজন কাছে গিয়ে দেখলে— খড়ের ছবি । এসে ওদের বললে,— ভয় নাই। তবু ওরা আসতে চায় না—বলে বুক ছড় ছড় করছে ! তখন ভূয়ে ছবিটাকে শুইয়ে দিলে, আর বলতে লাগলো এ কিছু নয়, এ কিছু নয়, ‘নেতি’ ‘নেতি’ ” ডাক্তার—এ সব বেশ কথা ।