পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামপুকুর বাটতে ভক্তসঙ্গে ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ ৩১৭ ৷ ডাক্তার (খাইতে খাইতে )—খাবার জন্য ‘Thank you' দিচ্চি। তুমি যে আমন উপদেশ দিলে, তার জন্ত নয়। সে ‘Thank । you’ মুখে বলবো কেন ? *- : শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্ত্যে )—তাতে মন রাখা । আর কি বলবো ? আর একটু একটু ধ্যান করা । ( ছোট নরেনকে দেখাইয়া ) দেখ দেখ এর মন ঈশ্বরে একেবারে লীন হ’য়ে যায়। যে সব কথা তোমায় বলছিলাম— ডাক্তার—এদের সব বলো । শ্রীরামকৃষ্ণ—যার যা পেটে সয় । ও সব কথা কি সববাই লতে পারে ? তোমাকে বললাম, সে এক। • মা বাড়িতে মাছ এনেছে। সকলের পেট সমান নয় । কারুকে পোলোয়া ক’রে দিলে, কারুকে আবার মাছের ঝোল । পেট ভাল নয় ! ( সকলের হাস্য )। ডাক্তার চলিয়া গেলেন । আজ বিজয়া। ভক্তেরা সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত করিরা তাহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। তারপরে পরস্পর কোলাকুলি করিতে লাগিলেন । আনন্দের সীম} নাই। ঠাকুরের অত অসুখ, সব ভুলাইয়া দিয়াছেন । প্রেমালিঙ্গন ও মিষ্টমুখ অনেকক্ষণ ধরিয়া হইতেছেন । ঠাকুরের কাছে ছোট নরেন, মাষ্টার ও আরও ছ'চারিটি ভক্ত বসিয়া আছেন । ঠাকুর আনন্দে কথা কহিতেছেন। ডাক্তারের কথা পড়িল। শ্রীরামকৃষ্ণ—ডাক্তারকে আর বেশী কিছু বলতে হবে না । “গাছটা কাটা শেষ হয়ে এলে, যে ব্যক্তি কাটে, সে একটু সরে দাড়ায় । খানিকক্ষণ পরে গাছটা আপনিই পড়ে যায়।” - ছোট নরেন ( সহাস্ত্যে )—সবই Principle ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারকে )—ডাক্তার অনেক বদলে গেছে না ?