পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরের বাটতে শ্ৰীৱfষ্ণু বিশ্বাসের জোর-ঈশ্বরে বিশ্বাস ও মহাপাতক/ “বিশ্বাস আর ভক্তি চাই-বিশ্বাসের বর্তজোর/6ন। একজন লঙ্কা থেকে সমুদ্র পার হবে, বিভীষণ বল্লে, এই জিনগত লগড়ের খুটে বেঁধে লও। তাহলে নির্বিবঘ্নে চলে যাবে ; জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পারবে। কিন্তু খুলে দেখো না ; খুলে দেখতে গেলেই ডুবে যাবে। সে লোকটা সমুদ্রের উপর দিয়ে বেশ চলে যাচ্ছিল। বিশ্বাসের এমন জোর । খানিক পথ গিয়ে ভাবছে, বিভীষণ এমন কি জিনিস বেঁধে দিলেন যে, জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পাচ্ছি। এই বলে কাপড়ের খুটটি খুলে দেখে, যে শুধু ‘রাম’ নাম লেখা একটি পাতা রয়েছে । তখন সে ভাবলে, এঃ এই জিনিস ! ভাবাও যা, অমনি ডুবে যাওয়া । “কথায় বলে হকুমানের ‘রাম’ নামে এত বিশ্বাস যে, বিশ্বাসের গুণে সাগর লঙ্ঘন করলে ! কিন্তু স্বয়ং রামের সাগর বাঁধতে হ’ল ! “যদি তাতে বিশ্বাস থাকে, তা হ’লে পাপই করুক, আর মহাপাতকই করুক, কিছুতেই ভয় নাই । এই বলিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তের ভাব আরোপ করিয়া ভাবে মাতোয়ার হইয়া বিশ্বাসের মাহাত্ম্য গাহিতেছেন— আমি দুর্গ দুর্গা বলে মা যদি মরি। আখেরে এ দীনে না তারে কেমনে জানা যাবে গো শঙ্করী। নাশি গো ব্রাহ্মণ, হত্যা করি ভ্রণ, সুরাপান আদি বিনাশি নারী। এ সব পাতক, না ভাবি তিলেক, ব্ৰহ্মপদ নিতে পারি।