পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরের বাটতে শ্রীরামকৃষ্ণ o s: ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইলেন । দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া আবার সহাস্তে কথা কহিতেছেন ।–“ভাব ভক্তি, এর মানে—তাকে ভালবাসা । যিনিই ব্ৰহ্ম তাকেই ’মা’ বলে ডাকছে। “প্রসাদ বলে মাতৃভাবে আমি তত্ত্ব করি যারে। সেটা চাতরে কি ভাঙবো হাড়ি বোঝ না রে মন ঠারে ঠোরে | “রামপ্রসাদ মনকে বলছে—ঠারে ঠোরে বুঝতে। এই বুঝতে বলছে যে বেদে র্যাকে ব্ৰহ্ম বলেছে—তাকেই আমি মা বলে ডাকছি। যিনিই নিগুণ, তিনিই সগুণ ; যিনিই ব্রহ্ম, তিনিই শক্তি। যখন নিক্রিয় বলে বোধ হয়, তখন তাকে ‘ব্ৰহ্ম’ বলি। যখন ভাবি হুষ্ঠি, স্থিতি, প্রলয় করছেন তখন তাকে আদ্যাশক্তি বলি, কালী বলি । “ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ । যেমন অগ্নি আর দাহিকা শক্তি, অগ্নি বল্লেই দাহিকা শক্তি বুঝা যায় ; দাহিকা শক্তি বল্লেই অগ্নি বুঝা যায় ; একটিকে মানলেই আর একটিকে মান হ’য়ে যায়। “তাকেই 'মা’ বলে ডাক হচ্ছে । ’মা’ বড় ভালবাসার জিনিস কি না । ঈশ্বরকে ভালবাসতে পারলেই তাকে পাওয়া যায়। ভাব, ভক্তি, ভালবাস। আর বিশ্বাস । আর একটা গান শোন— - [ উপায়—আগে বিশ্বাস—তারপর ভক্তি ] “ভাবিলে ভাবের উদয় হয় । ( ও সে ) যেমন ভাব, তেমনি লাভ মূল সে প্রত্যয় ॥ কালিপদ সুধাতুদে, চিত্ত যদি রয় ( যদি চিত্ত ডুবে রয় )। তবে পূজা, হোম, যাগ যজ্ঞ, কিছুই কিছু নয় ॥ “চিত্ত তদগত হওয়া, তাকে খুব ভালবাসা । ‘সুধা হ্রদ, কি না অমৃতের হ্রদ। ওতে ডুবলে মাতুষ মরে না। অমর হয় । কেউ কেউ মনে করে, বেশী ঈশ্বর ঈশ্বর করলে মাথা খারাপ হ’য়ে যায় । তা नग्न ।