পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ७d ९ ঐশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮৬, ৫ই জানুয়ারী মণি হো হো করিয়া হাসিয়া ফেলিলেন। ঠাকুরাইসিলেন। মণি–টাকা বার করতে অনেক হিসাব আসে উভয়ের হাস্য)। 4. তবে দক্ষিণেশ্বরে বলেছিলেন, ত্রিগুণাতীত হয়ে সংসা থাকতে পারলে এক হয়। . . স্ত্রীরামকৃষ্ণ-হঁ, বালকের মত । ঠাকুর একটু চুপ করিয়া আছেন। . মণি-কাল ওরা দক্ষিণেশ্বরে ধান করতে গেল। আমি স্বপ্ন ! দেখলাম । “ শ্রীরামকৃষ্ণ—কি দেখলে ? মণি—দেখলাম যেন নরেন্দ্র প্রভৃতি সন্ন্যাসী হয়েছেন–ধুনি জেলে বসে আছেন। আমিও তাদের মধ্যে বসে আছি। ওরা তামাক খেয়ে ধোঁয়া মুখদে বার কচ্চে, আমি বললাম, গাজার ধোয়ার গন্ধ । [ সন্ন্যাসী কে—ঠাকুরের পীড়া ও বালকের অবস্থা ] শ্রীরামকৃষ্ণ—মনে ত্যাগ হলেই হ’লো, তা হ'লেও সন্ন্যাসী । ঠাকুর চুপ করিয়া’আছেন। আবার কথা কহিতেছেন। ঐরামকৃষ্ণ-কিন্তু বাসনায় আগুন দিতে হয়, তবে ত! মণি—বড়বাজারে মারোয়াড়ীদের পণ্ডিতজীকে বলেছিলেন, ‘ভক্তি কামনা আমার আছে –ভক্তি কামনা বুঝি কামনার মধ্যে নয় শ্রীরামকৃষ্ণ—যেমন হিঞ্চে শাক শাকের মধ্যে নয় । , পিত্ত দমন হয়। আচ্ছ, এত আনন্দ, ভাব-এ সব কোথায় গেল ! মণি—বোধ হয় গীতায় যে ত্রিগুণাতীতের কথা বলা আছে সেই অবস্থা হয়েছে। সত্ত্ব রজঃ তমো গুণ নিজে নিজে কাজ করছে, আপনি স্বয়ং নির্লিপ্ত-সত্ত্ব গুণেতেও নির্লিপ্ত ।