পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ নিষ্কাম কৰ্ম্মের উদ্দেশ্য-ঈশ্বর দর্শন ] ". . . . . . “অন্তরে সোনা আছে, এখনও খবর পাও নাই। একটু মাটি চাপ আছে । যদি একবার সন্ধান পাও, অন্য কাজ কমে যাবে। গৃহস্থের বেীর ছেলে হলে ছেলেটিকেই নিয়ে থাকে ; ঐটিকে নিয়েই নাড়াচাড়া ; আর সংসারের কাজ শাশুড়ী করতে দেয় না। (সকলের হাস্য )। “আরো এগিয়ে যাও । কাঠুরে কাঠ কাটতে গিছিল ;–ব্রহ্মচারী বল্লে, এগিয়ে যাও । এগিয়ে গিয়ে দেখে চন্দন গাছ। আবার কিছুদিন পরে ভাবলে, তিনি এগিয়ে যেতে বলেছিলেন, চন্দন গাছ পৰ্য্যন্ত তো যেতে বলেন নাই। এগিয়ে গিয়ে দেখে রূপার খনি । আবার কিছুদিন পরে এগিয়ে গিয়ে দেখে, সোনার খনি । তারপর কেবল হীরা, মাণিক । এই সব লয়ে একেবারে আণ্ডিল হ'য়ে গেল । “নিষ্কাম কৰ্ম্ম করতে পারলে ঈশ্বরে ভালবাসা হয় ; ক্রমে র্তার কৃপায় তাকে পাওয়া যায় । ঈশ্বরকে দেখা যায়, তার সঙ্গে কথা কওয়া যায়, যেমন আমি তোমার সঙ্গে কথা কচ্ছি !” ( সকলে নিস্তব্ধ ) । সপ্তম পরিচ্ছেদ ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু সকলে অবাক ও নিস্তব্ধ হইয়া এই সকল কথা শুনিতেছেন। যেন সাক্ষাৎ বাগ্ধাদিনী শ্রীরামকৃষ্ণের জিহাতে অবতীর্ণ হইয়া বিদ্যাসাগরকে উপলক্ষ করিয়া জীবের মঙ্গলের জন্য কথা বলিতেছেন। রাত্রি হইতেছে ; নয়টা বাজে । ঠাকুর এইবার বিদায় গ্রহণ করিবেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (বিদ্যাসাগরের প্রতি সহাস্তে )–এ যা বল্লুম, বল