পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬৮ : এঐরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮৬, ৯ই এপ্রিল নরেন্দ্র-আপনি ও সব অবস্থা ভোগ করে, নীচে রয়েছেন – মণি (স্বগত)—সব অবস্থা ভোগ করে, ভক্তের অবস্থায় – শ্রীরামকৃষ্ণ—কে যেন নীচে টেনে রেখেছে ! । এই বলিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মণির হাত হইতে পাখাখানি লইলেন এবং আবার কথা কহিতে লাগিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—এই পাখা যেমন দেখছি । সামনে—প্রত্যক্ষ—ঠিক অমনি আমি ( ঈশ্বরকে ) দেখেছি! আর দেখলাম—এই বলিয়া ঠাকুর নিজের হৃদয়ে হাত দিয়া ইঙ্গিত করিতেছেন, আর নরেন্দ্রকে বলিতেছেন, “কি বললুম বল দেখি ?” নরেন্দ্ৰ—বুঝেছি । শ্রীরামকৃষ্ণ—বল দেখি ? নরেন্দ্ৰ—ভাল শুনিনি । শ্রীরামকৃষ্ণ আবার ইঙ্গিত করিতেছেন,—দেখলাম, তিনি ( ঈশ্বর) আর হৃদয় মধ্যে যিনি আছেন এক ব্যক্তি । নরেন্দ্ৰ—ই, ই, সোহহং । শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে একটি রেখামাত্র আছে—(‘ভক্তের আমি আছে) সম্ভোগের জন্ত । নরেন্দ্র (মাষ্টারকে )—মহাপুরুষ নিজে উদ্ধার হয়ে গিয়ে জীবের উদ্ধারের জন্ত থাকেন,—অহঙ্কার নিয়ে থাকেন—দেহের সুখ দুঃখ নিয়ে থাকেন । “যেমন মুটেগিরি, আমাদের মুটে গিরি on compulsion (কারে পড়ে )। মহাপুরুষ মুটেগিরি করেন সখ করে।” [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গুরুকৃপা ] আবার সকলে চুপ করিয়া আছেন। অহেতুক কৃপাসিন্ধু ঠাকুর