পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর বাগানে সাঙ্গোপাঙ্গসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ రిed শ্রীরামকৃষ্ণ এখনও ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। পাগলী তাহাকে । দেখিবার জন্য বড়ই উপদ্রব করে। পাগলীর মধুর ভাব। বাগানে প্রায় আসে ও দৌড়ে দৌড়ে ঠাকুরের ঘরে এসে পড়ে। ভক্তেরা প্রহারও করেন,—কিন্তু তাহাতেও নিবৃত্ত হয় না । இ. শশী—পাগলী এবার এলে ধাক্কা মেরে তাড়াব। শ্রীরামকৃষ্ণ ( করুণামাখা স্বরে )—ন, না। আসবে, চলে যাবে। রাখাল—আগে আগে অপর পাচ জন ওঁর কাছে এলে আমার হিংসে হ’ত। তার পর উনি কৃপা করে আমায় জানিয়ে দিয়েছেন,— মদগুরু শ্ৰীজগৎ গুরু !—উনি কি কেবল আমাদের জন্য এসেছেন ? শশী—তা নয় বটে,– কিন্তু অসুখের সময় কেন ? আর ও রকম উপদ্রব । রাখাল—উপদ্রব সববাই করে । সকলেই কি খাটি হয়ে ওঁর কাছে এসেছে ? ওঁকে আমরা কষ্ট দিই নাই ? নরেন্দ্র টরেন্দ্র আগে কি রকম ছিল, কত তর্ক করতো ? শশী—নরেন্দ্র যা মুখে ব’লতো, কাজেও তা করতো। রাখাল—ডাক্তার সরকার কত কি ওঁকে বলেছে ! ধরতে গেলে কেহই নির্দোষ নয়। শ্রীরামকৃষ্ণ ( রাখালের প্রতি, সস্নেহে )—কিছু খাবি ? রাখাল—না ;—খাবো এখন । শ্রীরামকৃষ্ণ মণিকে সঙ্কেত করিতেছেন, তুমি আজ এখানে খাবে ? রাখাল—খান না, উনি বলছেন । ঠাকুর পঞ্চম বর্ষায় বালকের ন্যায় দিগম্বর হইয়া ভক্তসঙ্গে বসিয়৷ আছেন। এমন সময়ে পাগলী সিড়ি দিয়া উঠিয়া ঘরের দরজার কাছে দাড়াইয়াছে।