পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট—বরাহনগর মঠ eరి মাষ্টার—ই, শুনেছি। আর আমাদের কাছেও অনেকবার বলেছিলেন । কাশীপুরে থাকতে তোমার একবার সে অবস্থা হয়েছিল, না ? নরেন্দ্ৰ—সেই অবস্থায় বোধ হল যে, আমার শরীর নাই, শুধু মুখটি দেখতে পাচ্ছি। ঠাকুর উপরের ঘরে ছিলেন । আমার নীচে ঐ অবস্থাটি হ’ল ! আমি সেই অবস্থাতে কঁদিতে লাগলাম। বলতে লাগলাম, আমার কি হ’ল ! বুড়ে গোপাল উপরে গিয়ে ঠাকুরকে বললেন, "নরেন্দ্র কাদছে ? “র্তার সঙ্গে দেখা হলে, তিনি বললেন, ‘এখন টের পেলি, চাবি আমার কাছে রইল –আমি বললাম, ‘আমার কি হল |’ “তিনি অন্য ভক্তদের দিকে চেয়ে বললেন, 'ও আপনাকে জানতে পারলে, দেহ রাখবে না আমি ভুলিয়ে রেখেছি । “একদিন বলেছিলেন, তুই যদি মনে করিস কৃষ্ণকে হৃদয়মধ্যে দেখতে পাস । আমি বললাম, আমি কিষ্টফিষ্ট মানি না । ( মাষ্টার ও নরেন্দ্রের হাস্য )।

  • আর একটা দেখেছি, এক একটি জায়গা, জিনিস বা মানুষ দেখলে, বোধ হয় যেন আগে জন্মান্তরে দেখেছি। যেন চেন চেনা! Amherst Street-এ যখন শরতের বাড়িতে গেলাম, শরতকে একবার বললাম, ঐ বাড়ি যেন আমার সব জানা ! বাড়ির ভিতরের পথগুলি, ঘরগুলি, যেন অনেক দিনের চেনা চেন ।

“আমি নিজের মতে কাজ করতাম, তিনি ( ঠাকুর ) কিছু বলতেন না। আমি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের Nember হয়েছিলাম, জানেন তো ?” মাষ্টার-ই, তা জানি । নরেন্দ্ৰ—তিনি জানতেন, ওখানে মেয়ে মানুষেরা যায় । মেয়েদের সামনে রেখে ধ্যান করা যায় না, তাই নিন্দ করতেন । আমায় কিন্তু