পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে . ২৯ । এক হয় না। নীচের কাটাটি মন—উপরের কাটাটি ঈশ্বর। নীচের কাটাটি উপরের কাটার সহিত এক হওয়ার নাম যোগ। “মন স্থির না হলে যোগ হয় না। সংসার হাওয়া মনরূপ দীপকে সৰ্ব্বদা চঞ্চল করছে। ঐ দীপটা যদি আদপে না নড়ে তা হ’লে ঠিক যোগের অবস্থা হয়ে যায় । “কামিনীকাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত । বস্তু বিচার করবে। মেয়ে মানুষের শরীরে কি আছে—রক্ত, মাংস, চর্বিব, নাড়ীভুড়ি, কৃমি, মুত, বিষ্ঠা এই সব । সেই শরীরের উপর ভালবাসা কেন ? “আমি রাজসিক ভাবের আরোপ করতাম—ত্যাগ করবার জন্য । সাধ হয়েছিল সাচ্চ জরীর পোষাক পরবো, আঙটি আঙ্গুলে দেব, নল দিয়ে গুড়গুড়ীতে তামাক খাব । সাচ্চ জরীর পোষাক পরলাম— । এর ( মথুর বাবু) আনিয়ে দিলে । খানিকক্ষণ পরে মনকে বললাম,— মন এর নাম সাচ্চ জরীর পোষাক ! তখন সেগুলোকে খুলে ফেলে দিলাম । আর ভাল লাগল না । 母, বললাম মন, এরই নাম শাল— এরই নাম আঙটি! এরই নাম নল দিয়ে গুড়গুড়ীতে তামাক খাওয়া ! সেই যে সব ফেলে দিলাম আর মনে উঠে নাই।” সন্ধ্য আগত প্রায় । ঘরের দক্ষিণপূর্বের বারান্দায়, ঘরের দ্বারের কাছে ঠাকুর মণির সহিত নিভৃতে কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( মণির প্রতি )—যোগীর মন সৰ্ব্বদাই ঈশ্বরেতে থাকে, সৰ্ব্বাই আত্মস্থ । চক্ষু ফ্যাল ফ্যালে, দেখলেই বুঝা যায়। যেমন পার্থী ডিমে তা দিচ্চে—সব মনটা সেই ডিমের দিকে, উপরে নাম মাত্র চেয়ে রয়েছে! আচ্ছা আমায় সেই ছবি দ্যাখাতে পার ? মণি—যে আজ্ঞা । আমি চেষ্টা করবে। যদি কোথাও পাই।