পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮২, ২৪শে আগষ্ট ډه শ্রীরামকৃষ্ণ-বৈষ্ণবরা বলে যে ঈশ্বরের পথে যারা যাচ্ছে আর যারা তাকে লাভ করেছে তাদের থাক থাক আছে,—প্ৰবৰ্ত্তক, সাধক, সিদ্ধ আর সিদ্ধের সিদ্ধ। যিনি সবে পথে উঠছেন তাকে প্রবর্তৃক বলে। যে সাধন ভজন করছে—পূজা, জপ ধ্যান, নামগুণকীৰ্ত্তন করছে—সে ব্যক্তি সাধক। যে ব্যক্তি ঈশ্বর আছেন বোধে বোধ করেছে, তাকেই সিদ্ধ বলে। যেমন বেদান্তের উপমা আছে,—অন্ধকার ঘর, বাবু শুয়ে আছে । বাবুকে একজন হাত ড়ে হাত ড়ে খুজছে। একটা কোঁচে হাত দিয়ে বলছে, এ নয়, জানালায় হাত দিয়ে বলছে এ নয়, দরজায় হাত দিয়ে বলছে এ নয়। নেতি, নেতি, নেতি। শেষে বাবুর গায়ে হাত পড়েছে, তখন বলছে, ইহ’ এই বাবু—অর্থাৎ ‘অস্তি’ বোধ হয়েছে। বাবুকে লাভ হয়েছে কিন্তু বিশেষ রূপে জানা হয় নাই । “আর এক থাক আছে, তাকে বলে সিদ্ধের সিদ্ধ। বাবুর সঙ্গে যদি বিশেষ আলাপ হয় তা হ’লে আর এক রকম অবস্থা—যদি ঈশ্বরের সঙ্গে প্রেম ভক্তির দ্বারা বিশেষ আলাপ হয় । যে সিদ্ধ সে ঈশ্বরকে পেয়েছে বটে,—যিনি সিদ্ধের সিদ্ধ তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে বিশেষরূপে আলাপ ৰূরেছেন । 3. “কিন্তু তাকে লাভ করতে হ’লে একটা ভাব আশ্রয় করতে হয়। শাস্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য বা মধুর। “শাস্ত—ঋষিদের ছিল । তাদের অন্য কিছু ভোগ করবার বাসন ছিল না। যেমন স্ত্রীর স্বামীতে নিষ্ঠ,—সে জানে আমার পতি কন্দপ। “দাস্য—যেমন হনুমানের। রামের কাজ করবার সময় সিংহ তুল্য।. স্ত্রীরও দাস্য ভাব থাকে,—স্বামীকে প্রাণপণে সেবা করে। মার কিছু কিছু থাকে—যশোদারও ছিল ।