পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮২, ২৪শে আগষ্ট প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়।” । ঈশ্বর দর্শন কি মস্তিষ্কের ভুল ? সংসয়াত্মা বিনশ্বতি ] | মণি ভাবিতেছেন যে, সে শিখা ত সত্যকার শিখা নয়। । ঠাকুর অন্তৰ্য্যামী, বলিতেছেন-চৈতন্তকে চিন্তা করলে অচৈতন্য হয় না। শিবনাথ বলেছিল, ঈশ্বরকে একশ’বার ভাবলে বেহেড হয়ে যায়। আমি তাকে বললাম, চৈতন্যকে চিন্তা করলে কি অচৈতন্য হয় ? মণি—আজ্ঞা, বুঝেছি। এ তো অনিত্য কোনও বিষয় চিন্তা করা নয় –যিনি নিত্য চৈতন্য স্বরূপ তাতে মন লাগিয়ে দিলে মানুষ কেন অচৈতন্য হবে ? R - স্ত্রীরামকৃষ্ণ ( প্রসন্ন হইয়া )—এইটি র্তার কৃপা,—র্তার কৃপা না হ'লে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না। o | “আত্মার সাক্ষাৎকার না হ’লে সন্দেহ ভঞ্জন হয় न । “র্তার কৃপা হ’লে আর ভয় নাই। বাপের হাত ধ’রে গেলেও বরং ছেলে পড়তে পারে ? কিন্তু ছেলের হাত যদি বাপ ধরে—আর ভয় নাই । তিনি কৃপা করে যদি সন্দেহ ভঞ্জন করেন আর দেখা দেন আর কষ্ট নাই।—তবে তাকে পাবার জন্য খুব ব্যাকুল হয়ে ডাকতে ডাকতে-সাধনা করতে করতে তবে কৃপা হয়। ছেলে অনেক • ੱਿ কচ্ছে দেখে মার দয়া হয়। মা লুকিয়ে ছিল, এসে দেখা দেয়।” মণি ভাবিতেছেন তিনি দৌড়াদৌড়ি কেন করান –ঠাকুর অমনি বলিতেছেন, “তার ইচ্ছা যে খানিক দৌড়াদৌড়ি হয়; তবে আমোদ হয়। তিনি লীলায় এই সংসার রচনা করেছেন । এরি নাম মহামায়া । তাই সেই শক্তিরূপিণী মার শরণাগত হতে হয়। মায়াপাশে বেঁধে