পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে - ૭૬ ফেলেছে, এই পাশ ছেদন করতে পারলে তবেই ঈশ্বর দর্শন হতে । স্ত্রীরামকৃষ্ণ—র্তার কৃপা পেতে গেলে আদ্যাশক্তিরূপিণী তাকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনিই মহামায়া। জগৎকে মুগ্ধ করে স্বষ্টি । স্থিতি প্রলয় করছেন । তিনি অজ্ঞান ক'রে রেখে দিয়েছেন। সেই মহামায়া দ্বার ছেড়ে দিলে তবে অন্দরে যাওয়া যায়। বাহিরে পড়ে। থাকলে বাহিরের জিনিস কেবল দেখা যায়।—সেই নিত্য সচ্চিদানন্দ পুরুষকে জানতে পারা যায় না। তাই পুরাণে কথা আছে—চণ্ডিতে— মধুকৈটভ * বধের সময় ব্ৰহ্মাদি দেবতারা মহামায়ার স্তব করছেন। । “শক্তিই জগতের মূলাধার। সেই আদ্যশক্তির ভিতরে বিদ্যা ও অবিদ্যা ই আছে.—অবিদ্যা—মুগ্ধ করে। অবিদ্যা—যা থেকে । কামিনী কাঞ্চন—মুগ্ধ করে। বিষ্ঠা—যা থেকে ভক্তি, দয়া, জ্ঞান প্রেম—ঈশ্বরের পথে ল’য়ে যায়। “সেই অবিদ্যাকে প্রসন্ন করতে হবে। তাই শক্তির পূজা পদ্ধতি । “স্তাকে প্রসন্ন করবার জন্য নানাভাবে পূজা —দাসী ভাব, বীর ভাব, সন্তান ভাব। বীরভাব-অর্থাৎ রমণ দ্বারা তাকে প্রসন্ন করা। “শক্তি সাধনী—সব ভারি উৎকট সাধন ছিল, চালাকি নয়। . “আমি মার দাসী ভাবে সখী ভাবে দুই বৎসর ছিলাম। আমা কিন্তু সন্তান ভাব, স্ত্রীলোকের স্তন মাতৃস্তন মনে করি । “মেয়ের এক একটি শক্তির রূপ । পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের

  • ত্বং স্বাহা ত্বংশ্বধা ত্বং হি বষটকার স্বরাত্মিক । . স্বধাত্বমক্ষরে নিতে ত্রিধামাত্রাত্মিক স্থিতা। [ চণ্ডী-মধুকৈটভ বধ