পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে - ৪৫ ৷ -পরম বৈষ্ণব। মাথায় শিখ, গলায় তুলসীর মালা, আর হস্তে সৰ্ব্বদাই হরি নামের মালা, জপ করিতেছেন। ইহাদের উড়িষ্যায় অনেক জমিদারী আছে। আর কোঠারে, শ্ৰীবৃন্দাবনে, ও অন্যান্য অনেক স্থানে শ্রী শ্রীরাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের সেবা আছে ও অতিথিশালা আছে। বলরাম নূতন আসিতেছেন ঠাকুর গল্পচ্ছলে তাহাকে নান উপদেশ দিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—সে দিন অমুক এসেছিল ; শুনেছি নাকি ঐ কালে মাগটার গোলাম –ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না –কামিনী কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে । আর তোমার সম্মুখে কি করে সেদিন ও কথাটা বল্লে যে—আমার বাবার কাছে একজন পরমহংস এসেছিলেন, বাবা তাকে কুঁকড়ে রোধে খাওয়ালেন। (বলরামের হাস্য )। আমার অবস্থা এখন মাছের ঝোল মার প্রসাদ হলে একটু খেতে পারি। মার প্রসাদ মাংস এখন পারি না,—তবে আঙ্গুলে করে একটু চাখি, পাছে মা রাগ করেন। (সকলের হাস্য ) । । [ পূৰ্ব্বকথা—বৰ্দ্ধমান পথে—দেশযাত্রা— নকুড় আচার্য্যের গান—শ্রবণ ] - - “আচ্ছা আমার একি অবস্থা বল দেখি । ওদেশে যাচ্ছি বৰ্দ্ধমান । থেকে নেমে, আমি গরুর গাড়ীতে বসে,—এমন সময় ঝড়বৃষ্টি। ৷ আবার গাড়ীর সঙ্গে কো থেকে লোক এসে জুটলো। আমার সঙ্গের ' লোকেরা বললে, এর ডাকাত –আমি তখন ঈশ্বরের নাম করতে লাগলাম। কিন্তু কখনও রাম রাম বলছি কখনও কালী কালী,— কখনও হকুমান হনুমান, সব রকমই বলছি এ কি রকম বল দেখি ” ঠাকুর এই কথা কি বলিতেছেন যে এক ঈশ্বর তার অসংখ্য নাম ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী বা সম্প্রদায়ের লোক মিথ্যা বিবাদ করিয়া মরে ? :