পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮-২৯। ভক্তেরা আসিয়া বসিলেই ঠাকুর মশারি হইতে বাঞ্জি হইলেন। মাষ্ট্রর প্রভৃতি সকলে ভূমি হইয়া প্ৰণাম করিলেন। ঠাকুরের মশারি তুলিয়া দেওয়া হইল। তিনি ছোট খাটটিতে বসি৷ আছেন ও কথা কহিতেছেন— । স্ত্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি )—মশারির ভিতর ধ্যান করছিলাম। ভাবলাম, কেবল একটা রূপ কল্পনা বইত না, তাই ভাল লাগল না। তিনি দপ করে দেখিয়ে দেন ত হয়। আবার মনে। করলাম, কেবা ধ্যান করে, কারই বা ধ্যান করি । মাষ্টার–আজ্ঞে হঁ। আপনি বলেছেন যে, তিনিই জীব জগৎ এই সব হয়েছেন,—যে ধ্যান করছে সেও তিনি। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—আর তিনি না করালে ত আর হবে না। তিনি ধ্যান করালে তবেই ধ্যান হবে। তুমি কি বল ? মাষ্টার—আজ্ঞে, আপনার ভিতর আমি নাই তাই এইরূপ হচ্ছে। যেখানে ‘আমি নাই সেখানে এরূপই অবস্থা । স্ত্রীরামকৃষ্ণ–কিন্তু ‘আমি দাস, সেবক এটুকু থাকা ভাল। যেখানে ‘আমি সব কাজ করছি বোধ, সেখানে ‘আমি দাস, তুমি প্রভু এ ভাব • খুব ভাল। সবই করা যাচ্ছে, সেব্য সেবক ভাবে থাকাই ভাল। মণিমোহন পরব্রহ্ম কি তাই সৰ্ব্বদা চিন্তা করেন। ঠাকুর তাহাকে লক্ষ্য করিয়া আবার কহিতেছেন— স্ত্রীরামকৃষ্ণ—আকাশবৎ। ব্রহ্মের ভিতর, বকার নাই। যেমন অগ্নির কোন রংই নাই। তবে শক্তিতে তিনি নানা হয়েছেন। সত্ত্ব, রজঃ ঃ, এই তিন গুণ শক্তিরই গুণ। আগুনে যদি সাদা রং ফেলে দাও সাদা দেখাবে। যদি লাল রং ফেলে দাও লাল দেখাবে। যদি কাল